বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: দেশের লাইফলাইন চট্টগ্রাম বন্দরে কি বড়সড় হার্ট অ্যাটাক হতে চলেছে? আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে ১৯টি বেসরকারি ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপো (আইসিডি) বা অফ-ডক তাদের কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ করে দিচ্ছে। সোজা কথায়, কাল থেকে কোনো রপ্তানি পণ্য (যেমন তৈরি পোশাক) জাহাজে উঠবে না, আবার বিদেশ থেকে আসা খালি কনটেইনারও বের হবে না।
কেন এই হঠাৎ সিদ্ধান্ত? ডিপো মালিকদের দাবি, “পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে।” সেই ২০১৬ সালে শেষবার মাশুল (ট্যারিফ) বাড়ানো হয়েছিল। এরপর গত ৯ বছরে শ্রমিকের বেতন বেড়েছে, তেলের দাম বেড়েছে, কিন্তু ডিপোর আয় বাড়েনি। তাই পুরোনো দরে আর সেবা দেওয়া সম্ভব নয়।
বিকডা কর্মকর্তারা অবশ্য পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, “সমিতি কোনো ধর্মঘট ডাকেনি। কিন্তু মালিকরা ব্যক্তিগতভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, এই রেটে ব্যবসা চালানো অসম্ভব। তাই তারা কাল থেকে অপারেশন বন্ধ রাখছেন।”
বিপাকে দেশের অর্থনীতি:
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি কোনো সাধারণ ধর্মঘট নয়। এটি দেশের অর্থনীতির জন্য ‘রেড অ্যালার্ট’।
১. তৈরি পোশাক রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাবে।
২. বন্দরে কনটেইনার জট তীব্র হবে।
৩. জাহাজের শিডিউল বিপর্যয় ঘটবে।
শিপিং এজেন্সি কর্মকর্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “কাউকে কিছু না জানিয়ে এমন সিদ্ধান্ত দেশের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করবে। এটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নিয়মবহির্ভূত।”
প্রশ্ন উঠছে, মাশুল বাড়ানোর ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত কি জিম্মি থাকবে দেশের রপ্তানি বাণিজ্য? কাল সকাল থেকেই কি অচল হয়ে যাবে সব?










