বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সুনির্দিষ্ট আশ্বাসের প্রেক্ষিতে পূর্বঘোষিত ‘অঘোষিত ধর্মঘট’ থেকে সরে এসেছেন বেসরকারি ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো (অফডক) মালিকেরা। এর ফলে দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে সম্ভাব্য স্থবিরতার আশঙ্কা কাটল।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং কাস্টমস কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের (বিকডা) নেতাদের এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের পর ধর্মঘট স্থগিতের এই ঘোষণা আসে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘বৈঠকে আলোচনার ভিত্তিতে অফডক মালিকরা তাদের কর্মসূচি আগামী এক মাসের জন্য স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছেন। ফলে ডিপো ও বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকবে।’
ঘটনার প্রেক্ষাপট ও কারণ
দীর্ঘদিন ধরেই অফডক মালিকরা তাদের কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ও অন্যান্য সেবার মাশুল (ট্যারিফ) বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে আসছিলেন। তাদের অভিযোগ, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে পরিচালন ব্যয় বহুগুণ বাড়লেও, সেই অনুপাতে তাদের সেবার মাশুল বাড়ানো হয়নি।
‘কাঙ্ক্ষিত’ হারে মাশুল আদায়ের বিষয়ে সুরাহা না হওয়ায় চরম পদক্ষেপ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা থেকে অঘোষিত ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ডিপো মালিকরা। এই কর্মসূচিপ অংশ হিসেবে তারা রপ্তানি পণ্যবাহী কন্টেইনার এবং খালি কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
যদি এই ধর্মঘট কার্যকর হতো, তবে দেশের রপ্তানি বাণিজ্যে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসার আশঙ্কা ছিল। কারণ, চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে রপ্তানি হওয়া পণ্যের প্রায় ৯০ শতাংশই এসব বেসরকারি অফডকের মাধ্যমে প্রক্রিয়াজাত ও জাহাজীকরণ করা হয়। এছাড়াও আমদানি পণ্যের ৩৮ ধরনের পণ্য এসব ডিপো থেকে খালাস হয়।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত
বুধবার বিকেলের বৈঠকে বন্দর কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছে যে, মাশুল বৃদ্ধির বিষয়টি যৌক্তিকভাবে পর্যালোচনা করা হবে। এই আশ্বাসের ভিত্তিতে বিকডা নেতারা আপাতত কঠোর কর্মসূচি থেকে সরে এসে এক মাসের সময় দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে পরবর্তীতে নতুন কর্মসূচি দেওয়া হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।










