বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: এশিয়ার বিভিন্ন দেশের স্বল্প-দূরত্বের ফ্লাইটে যাত্রীদের হাতব্যাগ, নগদ অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী চুরির ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসব চুরির পেছনে রয়েছে সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র, যারা পরিকল্পিতভাবে এসব অপরাধে জড়িত হচ্ছে।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক জনপ্রিয় পত্রিকা দ্য স্ট্রেইটস টাইমস-এর বরাত দিয়ে জানা গেছে, এই চক্রের সদস্যরা সাধারণত জোড়ায় জোড়ায় ভ্রমণ করে। তারা খুবই কৌশলে যাত্রীদের ছোটখাটো মূল্যবান জিনিস যেমন নগদ অর্থ বা একটি-দুটি ব্যাংক কার্ড চুরি করে থাকে, যাতে কেউ সহজে টের না পায়।
হংকং এই ধরনের চুরির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০২৪ সালের প্রথম ১০ মাসে হংকংয়ে ১৬৯টি ইন-ফ্লাইট চুরির ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। এসব চুরিতে মোট মূল্যমান ছিল প্রায় ৪৩ লাখ হংকং ডলার বা ৭ লাখ মার্কিন ডলার, যা আগের বছরের তুলনায় ৭৫ শতাংশ বেশি।
চাঙ্গি বিমানবন্দরের এয়ারপোর্ট পুলিশ বিভাগের কমান্ডার অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার এম মালাথি জানিয়েছেন, এসব চুরি শনাক্ত ও তদন্ত করা অত্যন্ত কঠিন। কারণ, অপরাধীরা এক দেশে নেমেই দ্রুত অন্য ফ্লাইটে উঠে পড়ে, ফলে তাদের সনাক্ত করার সময় খুবই সীমিত।
তিনি বলেন, “তারা পুরো ওয়ালেট নেয়ার ঝুঁকি নেয় না। কেবল কিছু নগদ অর্থ আর একটি-দুটি কার্ড নেয়, যাতে যাত্রী সহজে বুঝতে না পারে।”
এসি মালাথি আরও জানান, যেকোনো সন্দেহজনক ঘটনা হলে সঙ্গে সঙ্গে রিপোর্ট করা জরুরি যাতে পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে সন্দেহভাজনকে আটক করতে পারে।
এদিকে, আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন সংস্থা (আইএটিএ) জানিয়েছে, গত ১২ থেকে ১৮ মাসে এরকম চুরির পরিমাণ বেড়েছে বলে প্রায় ৩০০টি সদস্য বিমান সংস্থা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই সংস্থা ৩ জুন বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে হাইলাইট করে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যাত্রীরা সচেতন না হলে এই ধরণের অপরাধ রোধ করা কঠিন হবে। এ কারণে সব যাত্রীকে নিজ নিজ হাতব্যাগ ও মূল্যবান সামগ্রী সবসময় নিজের চোখের সামনে রাখার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।
পাঠকদের প্রতি অনুরোধ: আপনি কি কখনো ফ্লাইটে এমন ঘটনার শিকার হয়েছেন? নিচে কমেন্টে জানান। প্রতিবেদনটি বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন যাতে সবাই সতর্ক থাকতে পারে।