Home সারাদেশ রাতের চাঞ্চল্য ঝালকাঠিতে, আইনজীবীর মরদেহ উদ্ধার

রাতের চাঞ্চল্য ঝালকাঠিতে, আইনজীবীর মরদেহ উদ্ধার

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঝালকাঠি: শহরের চাঁদকাঠি এলাকা থেকে শনিবার রাত দশটার দিকে এক আইনজীবীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত ব্যক্তি শামিম হোসেন জয়, বয়স ত্রিশ ছয় বছর। ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান। মরদেহ উদ্ধার করে পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করেছে ঘটনা আত্মহত্যা হতে পারে, তবুও বিস্তারিত তদন্তে সঠিক কারণ নিশ্চিত হবে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয়রা রাতের দিকে কোনো এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর দিলে ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত চিরকুটে মৃত ব্যক্তি নিজেই লিখেছেন তার দীর্ঘদিনের শারীরিক কষ্ট ও মানসিক চাপে তিনি অতিষ্ঠ হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, তার শরীরে থাকা রোগের কারণে মৃত্যু অনিবার্য হয়েছে এবং শরীরের কষ্ট ও মানসিক চাপ আর সহ্য হয় না। তিনি তার ভুল বোঝাপড়া মেনে নিয়ে অনুতপ্ত বলে উল্লেখ করেছেন এবং কাউকে দায়ী করা হয়নি বলে জানিয়েছেন। তিনি অনুরোধ করেছেন পরিবার ও পরিচিত সমাজ তার প্রতি দয়া প্রদর্শন করুন।

ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যার মতো মনে হলেও সমস্ত প্রাসঙ্গিক দিক খতিয়ে দেখা হবে। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যাবে। তিনি আরও জানান, ঘটনার তদন্তে প্রয়োজনীয় আইনি কার্যক্রম শুরু করেছে পুলিশ এবং সম্ভাব্য অভিযোগ করতে পারার মতো কোনো তথ্য পেলে তা সংগ্রহ করা হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শামিম হোসেন জয় নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ দুধারিয়া গ্রামের মোজাম্মেল হক মোল্লার ছেলে। পেশাজীবনে তিনি ঝালকাঠি আইনজীবী সমিতির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। কাজের সুবাদে তিনি ঝালকাঠিতে ভাড়াবাসায় থাকতেন এবং রবিবার ওই বাসভবন থেকেই তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিজনরা পুলিশকে জানিয়েছেন তারা শোকাহত এবং ঘটনাটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। পরিবারের পক্ষ থেকেও দ্রুত ময়নাতদন্ত এবং প্রাসঙ্গিক তদন্ত পরিচালনার অনুরোধ করা হয়েছে।

স্থানীয় সমাজসেবা ও আইনজীবী সম্প্রদায়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সহকর্মীরা মরদেহের পাশে থাকা চিঠির বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, প্রয়োজনে তারা তদন্তে সহযোগিতা করবেন। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, ময়নাতদন্তের মাধ্যমে যদি নিশ্চিত হয় মৃত্যু আত্মহত্যা, তবে পাশাপাশি অন্য কোনো প্ররোচনার প্রতিও নজর দিতে হবে এবং ঘটনার পেছনের কারণ খতিয়ে দেখতে হবে।

এই ঘটনায় জেলা প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত তদন্তে মনোযোগী হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ, পরিবারের নিকট জানানো এবং প্রয়োজনীয় সামাজিক সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সূত্র জানিয়েছে। স্থানীয়রা আশা করছেন দ্রুত প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করবে কর্তৃপক্ষ এবং অন্য কোনো সন্দেহজনক দিক থাকলে তা দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে পরিষ্কার হবে।