ঢাকা: দেশে ই-সিগারেট ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম (ENDS) পণ্য উৎপাদনের অনুমতি না দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে গবেষণা ও জনস্বাস্থ্য অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) ও অ্যান্টি-টোবাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা)। এ সিদ্ধান্তের জন্য সংগঠন দুটি বিশেষভাবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানিয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিকোটিন আসক্তি থেকে রক্ষা করতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “এই সিদ্ধান্ত দেশের জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিকোটিন আসক্তি থেকে মুক্ত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
বর্তমানে তরুণদের মধ্যে ই-সিগারেট, ভ্যাপিং ও হিটেড টোব্যাকো পণ্যের ব্যবহার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। এসব পণ্যে ব্যবহৃত রাসায়নিক ও নিকোটিন শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বিশ্বের অনেক দেশেই এ ধরনের পণ্যের কারণে জনস্বাস্থ্য চরম ঝুঁকিতে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দীর্ঘদিন ধরেই এসব পণ্যের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ বা নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ করে আসছে।
শ্রীলঙ্কা, ভারত, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরসহ অন্তত ৪২টি দেশ ইতোমধ্যে ই-সিগারেট ও অনুরূপ পণ্য সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে। বাংলাদেশেও এই পণ্য তরুণ সমাজের মাঝে আসক্তি বাড়াচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
প্রজ্ঞা ও আত্মা আশা করছে, সরকার খুব দ্রুত বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের মাধ্যমে ই-সিগারেট, ভ্যাপিং ও হিটেড টোব্যাকো পণ্যের উৎপাদন, আমদানি ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করবে।