Home বিনোদন বলিউডে ‘ইমোশনাল চিটিং’ বিতর্ক: গ্ল্যামার দুনিয়ার মুখোশের আড়ালের বাস্তবতা

বলিউডে ‘ইমোশনাল চিটিং’ বিতর্ক: গ্ল্যামার দুনিয়ার মুখোশের আড়ালের বাস্তবতা

বিনোদন ডেস্ক:  আলো, ক্যামেরা আর রেড কার্পেটের ঝলমলে দুনিয়া—বলিউড যেন সবসময়ই নিখুঁত জীবনের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে। কিন্তু সম্প্রতি এক বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থার দাবিতে ফের আলোচনায় এসেছে বলিউড তারকাদের ব্যক্তিগত জীবন। ‘ইমোশনাল চিটিং’ বা মানসিক প্রতারণার অভিযোগে এক জনপ্রিয় বিবাহিত অভিনেতার গোপন সম্পর্ক ফাঁস হয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর টানিয়া পুরি।

পুরির দাবি অনুযায়ী, অভিনেতাটি দুই সন্তানের জনক এবং প্রায় দুই দশক ধরে বিবাহিত। বাইরের দুনিয়ায় তিনি আদর্শ স্বামী ও পারিবারিক মানুষ হিসেবে পরিচিত, কিন্তু বাস্তবে একাধিক তরুণ অভিনেত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। “স্ত্রী বিষয়টি জানতেন, কিন্তু দীর্ঘদিন নীরব ছিলেন। শেষপর্যন্ত সম্পর্কগুলোর জটিলতা প্রকাশ পেতে শুরু করলে গোপন গল্প আর গোপন থাকেনি,” বলেন পুরি।

গোয়েন্দার এই বক্তব্যে বলিউডে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ‘কাপল গোলস’ হিসেবে পরিচিত বহু সেলিব্রিটির সম্পর্ক এখন নতুন করে বিশ্লেষণের মুখে। অনেকে বলছেন—গ্ল্যামার, খ্যাতি আর ক্যারিয়ারের চাপের ভেতর বলিউড তারকাদের ব্যক্তিজীবন ক্রমেই ভঙ্গুর হয়ে পড়ছে।

চলচ্চিত্র বিশ্লেষক রাজীব মেহতা বলেন, “বলিউডে সম্পর্কের জগৎটা অনেক সময় বাস্তবের চেয়ে আলাদা। সামাজিক ইমেজ বজায় রাখার জন্য অনেক তারকা মুখে হাসি রাখেন, কিন্তু ভেতরে মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়।”

‘ইমোশনাল চিটিং’ শব্দটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নতুন আলোচনার বিষয়। এটি এমন এক মানসিক বা আবেগীয় ঘনিষ্ঠতা, যেখানে শারীরিক সম্পর্ক না থাকলেও একে অপরের প্রতি আবেগের টান গড়ে ওঠে—যা প্রথাগত বিবাহ বা সম্পর্কের সীমারেখা ভেঙে দেয়।

বিশ্লেষকদের মতে, বলিউডে এই প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে। কাজের চাপ, দীর্ঘ শুটিং, সহকর্মীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা—সবকিছু মিলিয়ে তারকাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের সীমানা অস্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

তবে এখন পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট অভিনেতার নাম প্রকাশ করা হয়নি। অনেকেই অনুমান করছেন এটি ইন্ডাস্ট্রির বড় কোনো তারকাকে ঘিরে, কিন্তু প্রমাণ ছাড়া কারও নাম উচ্চারণ করেননি কোনো গণমাধ্যম।

গ্ল্যামারের আড়ালের এই জটিল বাস্তবতা একবার আরও প্রমাণ করল—বলিউডে সব যে ঝলমলে দেখা যায়, তা আসলে সোনার খোলসে মোড়া এক ভঙ্গুর জগৎ।