Home Second Lead ঋণের নামে ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এস আলমসহ ৬৭ জনের...

ঋণের নামে ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এস আলমসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণের নামে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমসহ ৬৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। রোববার সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি দায়ের করেন। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. তানজির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ইসলামী ব্যাংক থেকে অনুমোদনবিহীন ঋণের নামে এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ, এস আলম স্টিলস ও এস আলম ট্রেডিং কোম্পানির নামে মোট ৯,২৮৩.৯৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সুদ ও অন্যান্য হিসাব মিলিয়ে এই পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০,৪৭৯ কোটি ৬২ লাখ টাকায়।

দুদকের অনুসন্ধানে বলা হয়েছে, ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জেনে-শুনে ঋণগ্রহীতাদের স্বার্থে ব্যাংকের বিনিয়োগ নীতিমালা লঙ্ঘন করেছেন। এতে ব্যাংক ও শেয়ারহোল্ডারদের অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতাও মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হয়েছে।

মামলার আসামি তালিকা:

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা:

  • সাবেক চেয়ারম্যান মো. নাজমুল হাসান
  • সাবেক এমডি মো. মাহবুব-উল আলম
  • মো. আবদুল হামিদ মিয়া
  • ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওমর ফারুক খান
  • মোহাম্মদ মনিরুল মাওলা
  • সাবেক ইভিপি মিফতাহ উদ্দীন
  • সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সাব্বির
  • সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ কায়সার আলী
  • এসডিপি, সিলেট জোন মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম
  • সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আইটি প্রধান মোহাম্মদ সিরাজুল কবির
  • সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও আইসিটি উইং প্রধান তাহের আহমেদ চৌধুরী
  • সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন
  • সাবেক চেয়ারম্যান (এক্সিকিউটিভ কমিটি) আবদুল মতিন
  • সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু রেজা মো. ইয়াহিয়া
  • সাবেক চেয়ারম্যান (এক্সিকিউটিভ কমিটি) মো. সাইফুল ইসলাম
  • সাবেক পরিচালক সিরাজুল করিম
  • মো. জয়নাল আবেদীন
  • কাজী শহীদুল আলম
  • সৈয়দ আবু আসাদ
  • তানভীর আহমেদ মো. কামরুল হাসান
  • খুরশিদ-উল-আলম
  • মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন
  • মো. মোসাদ্দেক-উল আলম
  • মো. জাকির হোসেন
  • মো. কামাল হোসেন গাজী
  • সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মো. ফসিউল আলম
  • ড. মোহাম্মদ সালেহ জহর
  • মো. সোলায়মান
  • মো. কামাল উদ্দীন
  • সাবেক এসডিপি মোহাম্মদ মোস্তাক আহমদ
  • মোহাম্মদ আলী চৌধুরী
  • এসইভিপি আহমেদ জোবায়েরুল হক
  • এসভিপি এস. এম. তানভির হাসান
  • সাবেক এভিপি হোসেন মোহাম্মদ ফয়সাল
  • সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আকিজ উদ্দিন
  • সাবেক বিনিয়োগ প্রধান মো. মনজুর হাসান
  • সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শামসুজ্জামান
  • সাবেক ডিএমডি মুহাম্মদ সাঈদ উল্লাহ
  • মো. মোস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী
  • আবুল ফয়েজ মুহাম্মদ কামালউদ্দিন
  • এসইভিপি মোহাম্মদ উল্লাহ
  • মো. রফিকুল ইসলাম
  • মো. ফরিদ উদ্দিন
  • সাবেক এসইভিপি মো. আবদুল জব্বার
  • সাবেক ইভিপি মো. শফিকুর রহমান
  • সাবেক এএমডি মো. আলতাফ হুসাইন
  • সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী
  • সাবেক উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসনে আলম
  • এ. এ. এম. হাবীবুর রহমান
  • মো. সিদ্দিকুর রহমান
  • সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট জি. এম. মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন কাদের
  • এস আলম গ্রুপ ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী নেতারা:
  • চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম
  • এস আলম রিফাইনড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ হাসান
  • এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলসের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আব্দুস সামাদ
  • এস আলম কোল্ড রোলড স্টিলস এমডি ওসমান গনি
  • গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশনের মালিক রাশেদুল আলম
  • এস আলম স্টিলসের মালিক সহিদুল আলম
  • এস আলম গ্রুপের পরিচালক ফারজানা পারভীন
  • ইমেপ্রস করপোরেশনের মালিক মো. ইসমাইল
  • এপারচার ট্রেডিং হাউসের মালিক এস. এম. নেছার উল্লাহ
  • দুলারী এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. ছাদেকুর রহমান
  • আহসান এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. এহসান উদ্দীন
  • ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্সের মালিক মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী
  • আনসার এন্টারপ্রাইজের মালিক আনছারুল আলম চৌধুরী
  • জেনেসিস টেক্সটাইল এক্সেসরিস অ্যান্ড অ্যাপারেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহসানুল আলম
  • জেনেসিস টেক্সটাইল এক্সেসরিস অ্যান্ড অ্যাপারেলসের পরিচালক মায়মুনা খানম

দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসামিরা ইচ্ছাকৃতভাবে আর্থিক অনিয়ম ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণের বড় অঙ্ক আত্মসাৎ করেছেন। ব্যাংকের তৎকালীন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নিয়মবহির্ভূতভাবে ঋণ অনুমোদন দিয়েছেন। ২০২২ সালের শেষের দিকে ইসলামী ব্যাংকে অস্বাভাবিক ঋণ বিতরণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।

এই ঘটনার ফলে ইসলামী ব্যাংক, সাধারণ আমানতকারী ও সরকারের আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।