মোঃ মাসুদ রানা, রামগড় ( খাগড়াছড়ি): আন্তর্জাতিক স্বীকৃত ওএমএলএস (One Million Leaders Asia) ফেলোশিপ প্রোগ্রামে চ্যাম্পিয়ন ফেলো হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন রামগড় স্টুডেন্টস ফোরামের সভাপতি তাহরীমা আফরিন তিশা। তরুণ নেতৃত্বের বিকাশে স্বীকৃত এই প্ল্যাটফর্মে দেশের বহু প্রতিযোগীর মধ্য থেকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হওয়া তিশার এই অর্জন শুধু রামগড় নয়, গোটা পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং বাংলাদেশের জন্যই গর্বের।
ওএমএলএস হলো একটি উদীয়মান আন্তর্জাতিক নেতৃত্ব বিকাশ কর্মসূচি, যেখানে এশিয়া অঞ্চলের তরুণদের নেতৃত্বগুণ, সামাজিক সচেতনতা এবং বৈশ্বিক প্রভাব তৈরির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ ও নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ দেওয়া হয়। এ বছর বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের কয়েক হাজার আবেদনকারীর মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই শেষে চূড়ান্ত তালিকায় জায়গা পান তাহরীমা আফরিন তিশা।
রামগড়ের মতো একটি প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উঠে এসে এমন একটি আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেকে প্রমাণ করা নিঃসন্দেহে একটি বিরল সাফল্য। বিশেষ করে একজন নারী শিক্ষার্থী হিসেবে তিশার এই স্বীকৃতি তার নিজের জন্য যেমন গর্বের, তেমনি রামগড়ের শিক্ষার্থী সমাজ ও তরুণ নারীদের জন্য এক বিশাল অনুপ্রেরণা।
তিশা দীর্ঘদিন ধরে রামগড় স্টুডেন্টস ফোরামের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। শিক্ষা, সচেতনতা, পরিবেশ রক্ষা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতার নানা কর্মসূচিতে তার সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে। তরুণ সমাজকে নেতৃত্বের মূল ধারায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে তিনি বরাবরই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছেন।
তিশার এই অর্জনে রামগড় স্টুডেন্টস ফোরামের পক্ষ থেকে এক অভিনন্দন বার্তায় বলা হয়, ‘তিশার এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আমাদের জন্য গর্বের। তার এ পথচলা তরুণ সমাজকে নেতৃত্বের পথে আরও সাহসী করে তুলবে।’
তিশা নিজেও জানিয়েছেন, ‘এই সম্মাননা আমাকে আরও দায়িত্ববান করে তুলেছে। আমি চাই, আমাদের মতো পিছিয়ে পড়া অঞ্চল থেকেও নেতৃত্ব তৈরি হোক, যা দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।’
স্থানীয় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সচেতন মহলে এই খবরে ব্যাপক উৎসাহ ও উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাকে ঘিরে প্রশংসার জোয়ার বইছে।
বিশ্লেষকদের মতে, প্রত্যন্ত অঞ্চলের তরুণদের মধ্যে যে সম্ভাবনা রয়েছে, তাহরীমার সাফল্য তারই প্রমাণ। শুধু সুযোগ ও সঠিক দিকনির্দেশনা পেলে এমন তরুণরাই একদিন দেশের নেতৃত্বে বড় অবদান রাখবে।