Home চট্টগ্রাম খাদ্য নিরাপত্তায় হুমকি: রাজনৈতিক ডিলার নিয়োগ নিয়ে উদ্বিগ্ন ক্যাব

খাদ্য নিরাপত্তায় হুমকি: রাজনৈতিক ডিলার নিয়োগ নিয়ে উদ্বিগ্ন ক্যাব

চট্টগ্রাম: খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রির (ওএমএস) এবং ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) কার্যক্রমে নতুন ডিলার নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। সংস্থাটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় ও নগর কমিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগের কারণে এই দুই গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি নানা প্রতিবন্ধকতায় পড়ছে এবং সাধারণ জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে।

এক যৌথ বিবৃতিতে ক্যাবের কেন্দ্রীয় ও চট্টগ্রামের নেতারা বলেন, ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বিগত সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত অনেক ওএমএস ও টিসিবি ডিলার আত্মগোপনে চলে যান। ফলে চাল-ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের বিক্রি কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়ে। এতে বাজারে দামের ঊর্ধ্বগতি রোধে সরকারের বিকল্প ব্যবস্থাগুলোর কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিগত সরকারের সময় ওএমএস ও টিসিবি ডিলার নিয়োগে রাজনৈতিক প্রভাব ছিল প্রকট। যেসব ব্যক্তি নিয়োগ পেয়েছিলেন, তারা অনেকেই সরকারের লক্ষ্য বাস্তবায়নের চেয়ে নিজেদের ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ে ব্যস্ত ছিলেন। আবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোও তেমন কার্যকর নজরদারি করতে পারেনি।

ক্যাব নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান সময়ে অনেক ক্ষেত্রেই পুরনো সরকারের আদলে রাজনৈতিক বিবেচনায় ডিলার নিয়োগের চেষ্টা চলছে। এমনকি কেউ কেউ অতীতের তুলনায় আরও বেশি প্রভাব খাটিয়ে একক আধিপত্য বিস্তারের প্রয়াস নিচ্ছেন। তারা বলেন, এই প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিগুলো ভেঙে পড়বে এবং সাধারণ মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা বিপর্যস্ত হবে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ক্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ সেলিম জাহাঙ্গীর, দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান, যুব ক্যাব নেতৃবৃন্দ এবং পলিসি ইনফ্লুয়েন্স গ্রুপ চট্টগ্রামের কর্মকর্তারা।

তারা নতুন সরকারকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, ডিলার নিয়োগে স্বচ্ছতা ও জনস্বার্থ নিশ্চিত করতে হবে। নতুবা খাদ্য নিয়ে জনগণের মধ্যে অস্থিরতা আরও বাড়বে এবং সরকারের সদিচ্ছা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।