Home কলকাতা কাকা শ্বশুরের প্রেমে গৃহবধূ, দুই মেয়েকে নিয়ে পালালেন

কাকা শ্বশুরের প্রেমে গৃহবধূ, দুই মেয়েকে নিয়ে পালালেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের উত্তরপ্রদেশের ইটাওয়া জেলায় এক বিস্ময়কর ঘটনা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে স্থানীয় মহলে। সংসারে স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক না টিকিয়ে এক গৃহবধূ প্রেমে জড়ালেন নিজের কাকা শ্বশুরের সঙ্গে। শেষপর্যন্ত তিনি এমন এক পদক্ষেপ নিলেন যা শুধু তাঁর স্বামী নয়, গোটা পরিবারকে হতবাক করে দিয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত গত ৩ এপ্রিল। পেশায় ট্যাক্সি চালক জিতেন্দ্র কুমার প্রতিদিনের মতো কাজ শেষে কানপুর থেকে বাড়ি ফিরে দেখেন  ঘরে নেই তাঁর স্ত্রী এবং দুই কন্যাসন্তান। এক অদ্ভুত নীরবতা ঘিরে ধরেছিল ঘরটিকে। ঘরে ছিলেন কেবল জিতেন্দ্রর বাবা এবং তাঁর ছেলে। প্রথমে ভেবেছিলেন, হয়তো আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি গিয়েছেন। কিন্তু অপেক্ষার পরও স্ত্রী ও দুই মেয়ের কোনো খোঁজ না মেলায় শুরু হয় উদ্বেগ।

জিতেন্দ্র ছুটে যান প্রতিবেশীদের কাছে, কেউ কিছু বলতে পারেননি। এরপর খোঁজ নিতেই দেখা যায়, একই সময়ে গায়েব হয়েছেন কাকা শ্বশুরও।  গত কয়েক মাসে প্রায়ই তাঁদের বাড়িতে আসতেন এবং স্ত্রী সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন। ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে থাকে ছবিটা।

পরে জানা যায়, স্ত্রী আসলে কাকা শ্বশুরের সঙ্গেই পালিয়েছেন। শুধু তাই নয়, সঙ্গে নিয়ে গেছেন দুই মেয়েকেও। অথচ তাঁদের ছেলে রয়ে গেছে বাড়িতেই। এমন সিদ্ধান্তে চরম ভেঙে পড়েছেন জিতেন্দ্র। তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন এবং একই সঙ্গে নিখোঁজ ডায়েরিও করেছেন।

জিতেন্দ্রর দাবি, বহুবার তিনি স্ত্রীকে সাবধান করেছিলেন কাকা শ্বশুরের প্রতি অতিরিক্ত মনোযোগ না দিতে। কিন্তু স্ত্রী শোনেননি। তাঁদের কথাবার্তায় ক্রমশ তৈরি হয় এক সম্পর্ক যা কোনোভাবেই স্বাভাবিক ছিল না। একসময় তা পরিণত হয় গোপন ভালোবাসায়। আর তারই ফলাফল এই পালিয়ে যাওয়া।

এই ঘটনার পর জিতেন্দ্র শুধু আইনগত ব্যবস্থা নিয়েই ক্ষান্ত হননি  দুই মেয়েকে ফিরে পেতে ঘোষণা করেছেন ২০ হাজার টাকার পুরস্কারও। বলেছেন, যিনি তাঁদের সঠিক খবর দিতে পারবেন, তাঁকে এই অর্থ দেওয়া হবে। জিতেন্দ্রর বাবাও এই ঘটনায় গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন। তাঁর ভাষায়, “পুত্রবধূ ফিরবে কি না, সেটা তাঁর নিজের ব্যাপার। কিন্তু দুই নাতনিকে আমরা আবার ফিরে পেতে চাই। তার জন্যই এই পুরস্কারের ঘোষণা।”

এই ঘটনায় স্থানীয় সমাজে নানান প্রশ্ন উঠেছে। সম্পর্কের সীমানা, পারিবারিক নৈতিকতা এবং সামাজিক দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে বিষয়টি নিয়ে বিতর্কও চলছে। অনেকেই বলছেন, এই ধরনের ঘটনা সমাজে একটি বড় ধরনের মানসিক ও পারিবারিক বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দেয়।

এখন দেখার বিষয়, পুলিশ তদন্তে কী অগ্রগতি আনতে পারে এবং জিতেন্দ্র তাঁর দুই মেয়েকে আদৌ ফিরে পাবেন কি না।