বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দেশের রপ্তানি বাণিজ্য, বিশেষ করে পোশাক শিল্প মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সিনিয়র সহ-সভাপতি এনামুল হক খান বাবলু।
রোববার দুপুরে বিমানবন্দরের দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ৮ নম্বর গেটের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় তিনি বলেন, “কার্গো ভিলেজে আগুন লাগা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এ ঘটনায় আমরা বিজিএমইএ বোর্ড গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। দেশের রপ্তানি বাণিজ্য, বিশেষ করে পোশাক শিল্প ভয়াবহভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে।”
তিনি জানান, সাধারণত উচ্চমূল্যের (হাই-ভ্যালুড) পণ্য ও জরুরি শিপমেন্টের ক্ষেত্রে আকাশপথে পণ্য পাঠানো হয়। কার্গো ভিলেজে থাকা এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ পণ্য অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের মধ্যে ছিল রপ্তানির জন্য প্রস্তুত পোশাক, পোশাক তৈরির মূল্যবান কাঁচামাল এবং বিভিন্ন বিদেশি ক্রেতার জন্য প্রস্তুত স্যাম্পল (নমুনা)। “এই স্যাম্পলগুলো নতুন ব্যবসার সুযোগ তৈরি করে এবং বিজনেস ডেভেলপমেন্টের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো হারানো মানে ভবিষ্যৎ ব্যবসায়িক সম্ভাবনা ক্ষুণ্ণ হওয়া,” বলেন এনামুল হক।
ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক হিসাবের বিষয়ে তিনি বলেন, বিজিএমইএ ইতোমধ্যে সদস্যদের কাছ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পণ্যের তালিকা চেয়ে চিঠি দিয়েছে এবং দ্রুত তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি অনলাইন ডাটা কালেকশন পোর্টাল চালু করেছে।
তিনি আরও জানান, প্রতিদিন প্রায় ২০০ থেকে ২৫০টি কারখানার পণ্য আকাশপথে রপ্তানি হয়। সে হিসাবে ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক। বিজিএমইএ শিগগিরই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, কাস্টমস এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে একটি সমন্বয় সভা করবে বলে জানান তিনি।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে বিজিএমইএর এই নেতা বলেন, “আমরা সরকারের কাছে জোরালোভাবে দাবি জানাচ্ছি— ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তাদের সার্বিক সহযোগিতা ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি পোশাক শিল্পের স্বাভাবিক কার্যক্রম বজায় রাখতে দ্রুত নতুন শিপমেন্টের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।”










