বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। বুধবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এই রায়ের ফলে তারেক রহমান সব দুর্নীতি মামলার দণ্ড ও সাজা থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত হলেন। এ বিষয়ে দুদকের দায়ের করা আপিলটি খারিজ হয়ে যায়।
দুদকের পক্ষে মামলায় ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান। অপরদিকে, আপিলকারীদের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন এস এম শাহজাহান, কায়সার কামাল ও জাকির হোসেন ভূঁইয়া। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল করিম।
আইনজীবী এস এম শাহজাহান রায়ের পর বলেন, “তারেক রহমানের নামে যেসব সম্পদের কথা বলা হয়েছিল, তা বৈধ আয় থেকেই অর্জিত। বিদেশে এই পরিবারের কোনও সম্পদ বা ঠিকানা নেই।”
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এই মামলা করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতে তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
২০২৩ সালের ২ আগস্ট ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতের তৎকালীন বিচারক মো. আছাদুজ্জামান রায় দেন। এতে তারেক রহমানকে দুদক আইনের ২৬(২) ধারায় তিন বছর এবং ২৭(১) ধারায় ছয় বছরের কারাদণ্ডসহ তিন কোটি টাকা জরিমানা করা হয়। ডা. জুবাইদা রহমানকে ২৭(১) ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এরপর জুবাইদা রহমান হাইকোর্টে আপিল করেন এবং তার দণ্ড স্থগিতের পাশাপাশি জামিন পান। হাইকোর্ট ১৩ মে ৫৮৭ দিনের বিলম্ব মার্জনা করে তার আপিল গ্রহণ করে এবং ১৪ মে শুনানির জন্য তা তালিকাভুক্ত হয়।
ডা. জুবাইদা রহমান ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তার স্বামী তারেক রহমানের সঙ্গে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। দীর্ঘ ১৭ বছর পর ২০২৫ সালের ৬ মে শাশুড়ি খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে বাংলাদেশে ফিরে আসেন তিনি।
