বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, রাজশাহী: আইইউসিএন (ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজ়ার্ভেশন অফ নেচার)–এর লাল তালিকায় দারুণ ভাবে বিপন্ন (ক্রিটিক্যালি এনডেঞ্জার্ড) ঘড়িয়াল। বিপন্ন প্রাণি ঘড়িয়াল প্রজনন কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হলো রাজশাহীতে । এটা দেশে এ ধরনের প্রথম প্রজনন কেন্দ্র। নগরীর সামাজিক বন বিভাগের রাজশাহীর পবা নার্সারির একটি পুকুরে এ প্রজনন কেন্দ্র। মঙ্গলবার উদ্বোধন করেন বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী।
রাজশাহী বিভাগীয় বন্যপ্রাণি সংরক্ষক জানান, ঘড়িয়াল বর্তমানে মহাবিপদাপন্ন প্রাণি। এক সময় বাংলাদেশের পদ্মা, মেঘনা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীতে দেখা গেলেও নদী দূষণ, নদীর নাব্যতা হ্রাস, অতিরিক্ত মাছ আহরণ, অবৈধ শিকার, পাচার, ডিম নষ্ট, প্রজননে ব্যাঘাত ঘটানো ও খাদ্যে সংকটের কারণে ঘড়িয়াল এখন বিলুপ্তির পথে। তবে প্রজননের মাধ্যমে আবারো ঘড়িয়ালের বংশ বৃদ্ধির চেষ্টা করা হচ্ছে।ঘড়িয়াল সংরক্ষণে এই উদ্যোগ নতুন নয়। ২০১৭ সালে রাজশাহীর কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার একটি পুকুরে ঘড়িয়ালের প্রজননের উদ্যোগ নেওয়া হয়। সে সময় চিড়িয়াখানায় দুটি স্ত্রী ঘড়িয়াল ছিল, যেগুলো আগে জেলেদের জালে ধরা পড়ে উদ্ধার করা হয়। এর একটিকে পাঠানো হয় ঢাকা চিড়িয়াখানায়, যার নাম রাখা হয় ‘যমুনা’। ঢাকায় ছিল চারটি পুরুষ ঘড়িয়াল। অন্যদিকে ঢাকা থেকে একটি পুরুষ ঘড়িয়াল এনে রাজশাহীর পুকুরে ছাড়া হয়, তার নাম দেওয়া হয় ‘গড়াই’। আর রাজশাহীতে আগে থেকেই থাকা স্ত্রী ঘড়িয়ালটির নাম হয় ‘পদ্মা’।
এই আন্তঃচিড়িয়াখানা বিনিময়ের মাধ্যমে ‘যমুনা’ ঢাকা চিড়িয়াখানায় তিনটি পুরুষ সঙ্গী পায়, আর রাজশাহীর ‘পদ্মা’ পায় ‘গড়াই’-কে। তবে আট বছরেও তাদের কোনো বাচ্চা হয়নি, কারণ ছিল প্রজননের অনুপযোগী পরিবেশ। তাই এবার সামাজিক বন বিভাগের যৌথ উদ্যোগে রাজশাহীতে গড়ে তোলা হলো ঘড়িয়ালের উপযোগী প্রজনন কেন্দ্র।










