Home Second Lead চাকসু নির্বাচন: চলছে ভোট গ্রহণ, শেষ বিকেল ৪টায়

চাকসু নির্বাচন: চলছে ভোট গ্রহণ, শেষ বিকেল ৪টায়

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টায় শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদ ভবনের ১৫টি কেন্দ্রে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়, যা বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে।

ভোটগ্রহণ শুরুর আগে প্রতিটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের সুষ্ঠু ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রতিটি অনুষদ ভবনে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়া ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে আড়াই শতাধিক সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে, যা ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ার সরাসরি তদারকি করছে।

৩৫ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার পর আবার ফিরে এসেছে চাকসু নির্বাচন। তাই ক্যাম্পাসজুড়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা চোখে পড়ার মতো। সকাল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের “জিরো পয়েন্ট” এলাকাটি হাজার হাজার শিক্ষার্থীর পদচারণায় মুখরিত। ভোট কেন্দ্রগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি যেন এক মিলনমেলার ছাপ ফেলেছে। বহু শিক্ষার্থী দীর্ঘদিন পর সহপাঠী ও বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে পেরে আড্ডা ও কুশল বিনিময়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিকুল ইসলাম বলেন, “ভোটের সঙ্গে মিলেমিশে ক্যাম্পাসে এক আনন্দমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। শুধু ভোট নয়, এটি আমাদের পরিচিতির, বন্ধুত্বের ও কথোপকথনের মাধ্যমেও পরিণত হয়েছে।”

ভোট কেন্দ্রে গতি সুনিশ্চিত করতে প্রতিটি কেন্দ্রে সর্বোচ্চ ৫০০ শিক্ষার্থী ভোট দিতে পারবেন। কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদ মিলিয়ে প্রতিটি শিক্ষার্থী মোট ৪০টি পদে ভোট দেবেন। নির্বাচনে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) পদ্ধতিতে ভোট গণনা হবে।

চাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ, র‌্যাব, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বাহিনী ও অন্যান্য সংস্থার মোট দুই হাজার সদস্য দায়িত্বে রয়েছেন। প্রয়োজনে অতিরিক্ত টিমও মোতায়েন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচন শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রতি সচেতনতা ও অংশগ্রহণ বৃদ্ধির প্রতিফলন। কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে কোন প্যানেল জয়লাভ করবে, তা এখনও অজানা, তবে ভোট গ্রহণ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষার্থীদের উদ্দীপনা ও উত্তেজনা চোখে পড়ার মতো।

চাকসু ভোটকে ঘিরে পুরো ক্যাম্পাস এখন এক মিলনমেলা ও উৎসবমুখর পরিবেশে পরিণত হয়েছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা কেবল ভোট দিতে নয়, একে অপরের সঙ্গে দেখা, অভিজ্ঞতা বিনিময় ও আলাপ-আড্ডায় ব্যস্ত।