বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জাতীয় সহ-নেতা ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহামদ তাহের বলেছেন, তাদের দাবি আদায় না করলে শক্তিপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়ার মতো প্রস্তুতি রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর পল্টনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি বলেন, “সোজা আঙুলে ঘি না উঠে তাহলে আঙুল বাঁকা করবো। কিন্তু ঘি আমাদের লাগবেই। প্রয়োজনে আবার জীবন দেব। জুলাইয়ের চেতনা ভুলুণ্ঠিত হতে দেব না।”
তাহের আরও বলেন, তারা এখনও নিয়মতান্ত্রিক পথে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে; তবে প্রয়োজন হলেই কড়া পথ অবলম্বন করা হবে। তিনি বলেন, “আমরা আপনাদের চালাকি বুঝি। আপনাদের চালাকির ভিত্তিতেই দাবি আদায়ের পন্থাও আমরা আবিষ্কার করবো। সুতরাং যা বোঝাতে চাই বুঝে নিন। নো হাংকি পাংকি। জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট লাগবেই।”
তাহের উল্লেখ করেন যে তারা জুলাই-আগস্টে যে রক্তদান ও শাহাদাত আশা করেছিল তা শেষ রক্ত ও শেষ শাহাদাত হিসেবে প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু আশাহত হওয়ার পরও আবার দ্রুত রাজপথে নামতে হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা আশা করেছিলাম, জুলাই বিপ্লবের পরে দাবি আদায়ে আর রাজপথে নেমে আসতে হবে না। কিন্তু আমরা আশাহত হয়েছি। অল্প সময়ের ব্যবধানেই আমাদের রাজপথে আসতে হয়েছে।”
সমাবেশে তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, প্রয়োজনে রক্ত ও জীবন দেবে তারা, কিন্তু জুনে শুরু হওয়া জুলাই সনদ প্রতিষ্ঠা এবং জাতীয় ক্ষেত্রে সংবিধানে তা অন্তর্ভুক্ত করার আন্দোলন সফল করতে বাধা দেবে না—“জুলাই সনদ বাংলার মাটিতে হুবহু সেটাই আইনি ভিত্তি দিতে সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত করা হবে, ইনশাআল্লাহ। গণভোট জাতীয় নির্বাচনের আগেই হতে হবে।”
তাহের সংসদীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনের পাশাপাশি সরকারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি বন্ধের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, গণভোট আয়োজনের জন্য কম খরচে সম্ভাব্য ব্যবস্থা আছে এবং চাঁদাবাজি বন্ধ হলে অর্থের অভাব হবে না। “একদিনে যে পরিমাণ চাঁদাবাজি হয় তা দিয়ে একটা গণভোট আয়োজন করা যায়,” তিনি দাবি করেন।
সমাবেশ শেষে দুপুর ১২টার দিকে পুরানা পল্টন মোড় থেকে অংশগ্রহণকারীরা যমুনা অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেন এবং সেখানে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন। পদযাত্রায় জামায়াতসহ আট দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন এবং পরে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি প্রদান করতে তারা যাত্রা চালায়।










