ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবারের সময় ও ধরন দুটোতেই শৃঙ্খলা আনা দরকার। বেশি প্রোটিন ও আঁশযুক্ত খাবার রাখুন রোজকার তালিকায়। শাকসবজি, ডালিয়া, ওটস, টক দইয়ের মতো খাবার পাতে থাকলে উপকার মিলবে। পাশাপাশি উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
হেলথ ডেস্ক: ডায়াবেটিস একবার শরীরে বাসা বাঁধলে তা শুধু রক্তে শর্করার মাত্রাই নয়, বরং হার্ট, কিডনি, চোখ ও স্নায়ুতন্ত্রের উপরও ধীরে ধীরে প্রভাব ফেলতে শুরু করে। তাই যাঁরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত, তাঁদের অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে, নইলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের শারীরিক জটিলতার আশঙ্কা বাড়ে।
রাতের ঘুম যেন ঠিক হয়
প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম না হলে দেহে ইনসুলিন হরমোনের কার্যকারিতা কমে যায়। পাশাপাশি কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বেড়ে গিয়ে রক্তে শর্করার পরিমাণ হঠাৎ করে বেড়ে যেতে পারে। এজন্য রাতে অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
খাবারে সচেতনতা জরুরি
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাবারের সময় ও ধরন দুটোতেই শৃঙ্খলা আনা দরকার। বেশি প্রোটিন ও আঁশযুক্ত খাবার রাখুন রোজকার তালিকায়। শাকসবজি, ডালিয়া, ওটস, টক দইয়ের মতো খাবার পাতে থাকলে উপকার মিলবে। পাশাপাশি উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলা উচিত।
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ নয়
অনেকেই রক্তে শর্করা কমে গেলে নিজে থেকে ওষুধ বন্ধ করে দেন। এটা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিপজ্জনক। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কখনও ওষুধ খাওয়া বন্ধ করবেন না। রোজকার জীবনযাত্রার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সুগার লেভেল নিয়মিত পরীক্ষা করাও জরুরি।
রোজ কিছু না কিছু ব্যায়াম করুন
হাঁটাচলা, সাঁতার, দৌড় বা হালকা যোগব্যায়াম যেটাই হোক না কেন, শরীর সচল রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন অন্তত আধ ঘণ্টা শারীরিক পরিশ্রম করলে ইনসুলিন ভালো কাজ করে, রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
জল খান নিয়ম করে
দেহে জল কম থাকলে কিডনির কার্যকারিতাও ব্যাহত হয়। পর্যাপ্ত পানি খেলে প্রস্রাবের মাধ্যমে অতিরিক্ত গ্লুকোজ বেরিয়ে যায়, ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই ডায়াবেটিস থাকলে দিনে অন্তত আট থেকে দশ গ্লাস জল খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
এই নিয়মগুলি কঠোরভাবে মেনে চললে ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। মনে রাখতে হবে, ডায়াবেটিস কোনও নিরাময়যোগ্য রোগ নয়, কিন্তু নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, যদি জীবনযাত্রায় কিছু নিয়মিত অভ্যাস গড়ে তোলা যায়।