Home Uncategorized পতেঙ্গা সৈকতে দর্শনার্থীদের সামনে গুলিবিদ্ধ শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘ঢাকাইয়া আকবর’

পতেঙ্গা সৈকতে দর্শনার্থীদের সামনে গুলিবিদ্ধ শীর্ষ সন্ত্রাসী ‘ঢাকাইয়া আকবর’

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: পতেঙ্গা সৈকতে শত শত দর্শনার্থীর উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী আলী আকবর ওরফে ঢাকাইয়া আকবর। এ ঘটনায় আরও একজন সাধারণ দর্শনার্থী আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে সৈকতের পশ্চিম পয়েন্টে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই সময় ঢাকাইয়া আকবর একজন নারী এবং চারজন পুরুষ সহযোগীকে নিয়ে সৈকতের ২৮ নম্বর দোকানের সামনে বসে ছিলেন। হঠাৎ করে একটি মোটরসাইকেলে করে চারজন যুবক সেখানে আসে এবং আকবরকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। আকবর দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলেও তার শরীরে চার থেকে পাঁচটি গুলি লাগে।

গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঢাকাইয়া আকবরকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গুলিতে আহত অপর ব্যক্তির নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা না গেলেও তিনি একটি ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। আহত দুইজনই বর্তমানে চিকিৎসাধীন।

আকবর নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার চালিতাতলী এলাকার মোহাম্মদ মঞ্জুরের ছেলে। পুলিশ ধারণা করছে, দীর্ঘদিন ধরে অপরাধ জগতে প্রতিদ্বন্দ্বী ‘ছোট সাজ্জাদ’ গ্রুপের সদস্যরাই তাকে হত্যাচেষ্টার উদ্দেশ্যে এ হামলা চালিয়েছে। জানা গেছে, সাজ্জাদ বর্তমানে কারাগারে আটক এবং তার ধারণা, ঢাকাইয়া আকবরই তাকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেওয়ার নেপথ্যে রয়েছে। সেই শত্রুতার জেরে এই গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

ঘটনার সময় সৈকতে ঘুরতে আসা মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই সেখানে চাঞ্চল্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে এবং হামলাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।

পতেঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ফরিদুল আলম বলেন, “আকবর নামে একজন ও আরেকজন দর্শনার্থী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আকবরের শরীরে একাধিক গুলি লেগেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করছি।”

বিভিন্ন সূত্রের ধারণা, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরেই ঢাকাইয়া আকবরকে গুলি করা হয়ে থাকতে পারে। ঘটনার আগের দিনই আকবর কর্ণফুলী টানেলের সামনে দাঁড়িয়ে ফেসবুকে একটি ‘ফানি’ ভিডিও পোস্ট করেন। গুলিবর্ষণের স্থান সেই টানেল এলাকারই অদূরে।

২০২৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকাইয়া আকবর বিদেশি রিভলবার ও এলজিসহ লক্ষ্মীপুরে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। পরে তাঁকে চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানার একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র, চাঁদাবাজি ও সহিংসতার অভিযোগে ১০টির বেশি মামলা রয়েছে।


আপনি কি মনে করেন, পতেঙ্গা সৈকতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা উচিত? আপনার মতামত নিচের মন্তব্য বিভাগে জানান। প্রশাসনের প্রতি আপনার প্রত্যাশা কী?