তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে বড় পরিবর্তন
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: দেশে তামাকের ব্যবহার কমাতে এবং জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫’ এর ব্যাপক সংশোধনী এনে নতুন অধ্যাদেশ জারি করেছে সরকার। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এই গেজেট প্রকাশিত হয়। সংশোধিত এই আইনে ই-সিগারেট সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা এবং পাবলিক প্লেসের সংজ্ঞাকে আরও বিস্তৃত করার মাধ্যমে ধূমপান বিরোধী অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে।
ই-সিগারেট ও ভেপিং নিষিদ্ধ: নতুন সংশোধনী অনুযায়ী, বাংলাদেশে এখন থেকে ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম বা ই-সিগারেট, ভেপ, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্ট উৎপাদন, আমদানি, রপ্তানি, বিজ্ঞাপন ও বিপণন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেউ এই বিধান লঙ্ঘন করলে তাকে অনূর্ধ্ব তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে হবে।
পাবলিক প্লেসের নতুন সংজ্ঞা ও বিধিনিষেধ: জনসাধারণের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে পাবলিক প্লেসের সংজ্ঞায় বড় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস, হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, লিফট, আচ্ছাদিত কর্মক্ষেত্র, রেস্তোরাঁ, পাবলিক টয়লেট এবং শিশুদের পার্কসহ যে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানের স্থল ‘পাবলিক প্লেস’ হিসেবে গণ্য হবে। এমনকি ভবনের বারান্দা, প্রবেশপথ এবং ভবনের সাথে সংশ্লিষ্ট খোলা জায়গাও এই নিয়ন্ত্রণের আওতায় থাকবে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের সন্নিকটে তামাক নিষিদ্ধ: নতুন আইনে বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিক বা শিশু পার্কের সীমানার ১০০ মিটারের মধ্যে কোনো প্রকার তামাক বা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করা যাবে না। তরুণ প্রজন্মকে তামাকের হাত থেকে রক্ষা করতেই এই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
কঠোর শাস্তির বিধান: আইন অমান্যকারী ব্যক্তি বা কোম্পানির জন্য শাস্তির মাত্রা কয়েকগুণ বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে তামাক কোম্পানিগুলো যদি আইন লঙ্ঘন করে, তবে তাদের লাইসেন্স বাতিলসহ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে দণ্ড দ্বিগুণ হবে।
সংশোধিত এই আইন অবিলম্বে কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যা তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে একটি মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে










