Home First Lead ১৮ বছর পর বাবার কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান

১৮ বছর পর বাবার কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান

ছবি সংগৃহীত
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: দীর্ঘ ১৮ বছরের নির্বাসন কাটিয়ে দেশে ফেরার পর আজ শুক্রবার বিকেলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ২০০৬ সালের ১ সেপ্টেম্বরের পর এই প্রথম তিনি তাঁর বাবার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন।

বিকেল ৪টা ৩০ মিনিটে শেরেবাংলা নগরে পৌঁছান তারেক রহমান। সেখানে তিনি কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে সূরা ফাতিহা পাঠ করেন। এরপর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘায়ু ও সুস্থতা এবং গত জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।

আবেগঘন এই মুহূর্তে তারেক রহমানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ নেতারা।

দুপুর ২টা ২০ মিনিটে গুলশানের বাসভবন থেকে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ লেখা একটি লাল-সবুজ বিশেষ নিরাপত্তা বাসে চড়ে তিনি মাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হন। গতকাল বিমানবন্দর থেকে সংবর্ধনাস্থলে যাওয়ার সময়ও তিনি এই বাসটি ব্যবহার করেছিলেন। রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে থাকা হাজার হাজার নেতাকর্মীকে তিনি হাত নেড়ে অভিবাদন জানান।

তারেক রহমানের আগমনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই শেরেবাংলা নগর ও চন্দ্রিমা উদ্যান এলাকায় কয়েক হাজার নেতাকর্মী জড়ো হন। পুরো এলাকায় নেওয়া হয়েছিল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিএনপির নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবকরাও ভিড় নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন।

মাজার প্রাঙ্গণে উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস ও আবেগ দেখা যায়। তাদের কণ্ঠে ছিল— ‘এক জিয়া লোকান্তরে, লক্ষ জিয়া ঘরে ঘরে’ এবং ‘তারেক রহমান বীরের বেশে, আসছে ফিরে বাংলাদেশে’ এর মতো স্লোগান।

নেতাকর্মীরা জানান, তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তন কেবল একটি পারিবারিক সফর নয়, বরং দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এটি একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত। তাদের মতে, নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে দেশের সব ধোঁয়াশা তাঁর উপস্থিতিতে কেটে যাবে।

মাজার প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “তারেক রহমানের হাত ধরে দেশ গণতান্ত্রিক যাত্রার পথে এগিয়ে যাবে। তাঁর এই রাজসিক প্রত্যাবর্তন সেই বার্তাই বহন করে। আমরা তাঁর নেতৃত্বে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের অপেক্ষায় আছি।”