Home First Lead ২০২৫-২৬ বাজেট: যেসব জিনিসের দাম কমতে পারে

২০২৫-২৬ বাজেট: যেসব জিনিসের দাম কমতে পারে

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা:বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লক্ষ ৯৭ হাজার ০০ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেছেন। এবারের বাজেটে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে এমন বেশ কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক ও কর কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে এসব পণ্যের দাম কমার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর উৎসে কর ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর আওতায় পেঁয়াজ, রসুন, মটর, ছোলা, চাল, গম, আলু, মসুর, ভোজ্যতেল, চিনি, আদা, হলুদ, শুকনা মরিচ, ডাল, ভুট্টা, ময়দা, আটা, লবণ, গোলমরিচ, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, খেজুর, তেজপাতা, পাট, তুলা, সুতা ও ফলমূল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এতে এসব নিত্যপণ্যের দাম খানিকটা কমে আসার আশা করা হচ্ছে।

এছাড়া, প্যাকেটজাত গুঁড়া দুধ আমদানিতে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা শিশু খাদ্য ও গৃহস্থালি ব্যয়ের ওপর স্বস্তি আনবে। চকলেট আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হয়েছে। ফলে জনপ্রিয় এই মিষ্টান্নের দামও হ্রাস পেতে পারে।

প্রযুক্তি পণ্যেও মিলেছে কর রেয়াত। ল্যাপটপ আমদানিতে ভ্যাট প্রত্যাহার করায় সর্বমোট করহার ৩১ শতাংশ থেকে নেমে ২০.৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। কম্পিউটার ও প্রিন্টারের যন্ত্রাংশ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে, যা প্রযুক্তিপণ্য আরও সাশ্রয়ী করে তুলবে।

নির্মাণ সামগ্রীর মধ্যে ম্যাঙ্গানিজের শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে, ফলে রড ও লোহাজাতীয় পণ্যের দাম কমবে বলে আশা করা যায়। এছাড়া, দেশে তৈরি সুইচ-সকেট ও ইলেকট্রিক মোটরের জন্য ব্যবহৃত যন্ত্রাংশের ওপরও রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

মোটরসাইকেল উৎপাদনের ক্ষেত্রে ইঞ্জিন পার্টস আমদানিতে শুল্ক হ্রাস করা হয়েছে, যা এর দাম হ্রাসে সহায়ক হতে পারে। স্বাস্থ্যখাতে ডায়ালাইসিস ফিল্টারের আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা হয়েছে। ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট ও ক্যান্সারের ওষুধ তৈরির কাঁচামালেও কর রেয়াত প্রস্তাব করা হয়েছে।

এছাড়া কার্পেট তৈরির প্রধান উপাদান পলিপ্রোপাইলিন ইয়ার্ন আমদানির শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রপেলার ও ইঞ্জিন আমদানিতেও শুল্ক হ্রাসের সুপারিশ করা হয়েছে।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী জানান, দেশের অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনতে এবং ভোক্তাদের ওপর চাপ কমাতে সরকার এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাজেট পাস হলে ভোক্তা পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।