তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ট্যাক্স ফাঁকি দিতে সাহায্য, শুল্ক ও কর কম নেওয়া এবং নির্ধারিত পরিমাণ কর আদায় না করে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল। অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে আছেন—এ কে এম বদিউল আলম (সদস্য, আয়কর নীতি), মির্জা আশিক রানা (অতিরিক্ত কর কমিশনার, কর অঞ্চল-৮, ঢাকা), মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দীন খান (যুগ্ম কর কমিশনার, বিসিএস কর একাডেমি), মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা (উপ কর কমিশনার, কর অঞ্চল-১৬, ঢাকা), হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার (অতিরিক্ত কমিশনার, নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, মূল্য সংযোজন কর, ঢাকা), এবং সাধন কুমার কুন্ডু (অতিরিক্ত কমিশনার, কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা দক্ষিণ)।
সূত্র জানায়, এই কর্মকর্তাদের মধ্যে পাঁচজন এনবিআরের আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। বিশেষ করে হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি। মির্জা আশিক রানা ও মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতাও ঐক্য পরিষদের সহসভাপতি হিসেবে আছেন। তবে দুদকের মহাপরিচালক স্পষ্ট করেন, চলমান আন্দোলনের সঙ্গে এই অনুসন্ধানের কোনও সম্পর্ক নেই। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, গত ২০ থেকে ২৫ বছরে ওই কর্মকর্তারা বিভিন্ন স্টেশনে শুল্ক, ভ্যাট ও কর ফাঁকির সুযোগ তৈরি করে নিজেরা লাভবান হয়েছেন। এর ফলে রাষ্ট্রকেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আক্তার হোসেন জানান, “কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা কর ও শুল্ক আদায়ের ক্ষেত্রে মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে করদাতাদের কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছেন। নির্ধারিত কর আদায় না করে করের পরিমাণ কমিয়ে দিতেন। আবার ঘুষ না পেলে কর ফাঁকি দেওয়ার মিথ্যা মামলা দিয়ে ব্যবসায়ীদের হয়রানি করতেন।”
এছাড়া করদাতারা আগাম কর প্রদান করলে বা বেশি কর দিলে, অতিরিক্ত অর্থ ফেরত পাওয়ার জন্য অনেক সময় ঘুষ বা উপহারে অতিরিক্ত খরচ হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা কর ফেরত দিতে নিজেরাও মোটা অংকের ঘুষ নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দুদক এ ঘটনায় আরও অভিযোগ পেলে তদন্ত করবে বলেও জানায়। এনবিআরের স্বচ্ছতা ও ন্যায়পরায়ণতা নিশ্চিত করার জন্য এই অনুসন্ধান গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।