Home সারাদেশ শহরের কর্মজীবী নারীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি: অবহেলার বলি শরীর

শহরের কর্মজীবী নারীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি: অবহেলার বলি শরীর

হেলথ ডেস্ক: শহরের কর্মজীবী নারীদের জীবনে প্রতিনিয়ত বাড়ছে নানা রকম স্বাস্থ্যঝুঁকি। অনিয়মিত জীবনযাত্রা, মানসিক চাপ, খাওয়া-দাওয়ার অবহেলা ও স্বাস্থ্যপরীক্ষার প্রতি অমনোযোগ সব মিলিয়ে শরীর যেন ক্রমেই হয়ে উঠছে অবহেলার বলি।

ব্যস্ত কর্মঘণ্টা শেষে বাসায় ফিরে সংসারের দায়ভার কাঁধে নেওয়া এ যেন এক অবিরাম চক্র। এর মাঝে নিজের দিকে তাকানোর সময় কোথায়? বহু নারী সকাল না খেয়েই বেরিয়ে পড়েন, দুপুরের খাবার সারেন তাড়াহুড়োতে কিংবা বাদই পড়ে যায়। রাতের ঘুমও হয়ে ওঠে অপ্রতুল। এভাবে দীর্ঘদিন চলতে থাকলে দেখা দেয় হরমোনাল অসাম্য, উচ্চ রক্তচাপ, গ্যাস্ট্রিক, মাইগ্রেন, অনিদ্রা এমনকি মানসিক অবসাদ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারীর এই একক সংগ্রামী জীবনে স্বাস্থ্যকে উপেক্ষা করার অর্থ ভবিষ্যতের জটিল রোগকে ডেকে আনা। ঢাকা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক ডা. শায়লা রহমান জানান, ‘‘অফিস ও বাসার দ্বৈত দায়িত্বে থাকা নারীদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সুষম আহার, পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক চাপ ব্যবস্থাপনার দিকে নজর দেওয়া জরুরি।’’

বিশেষত, শহুরে জীবনযাত্রায় যাতায়াত ও কর্মস্থলের চাপে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা, পর্যাপ্ত ব্যায়ামের অভাব, প্রক্রিয়াজাত খাবারের প্রতি নির্ভরতা সব মিলিয়ে স্থূলতা ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও বাড়ছে উল্লেখযোগ্য হারে।

এদিকে মানসিক চাপও এই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে অন্যতম বড় কারণ। কর্মক্ষেত্রে চাপ, পরিবারে দায়িত্ব ও সামাজিক চাহিদার ভার নারীর মনোজগতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। একাধিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, শহরের বহু কর্মজীবী নারী অবসাদগ্রস্ততায় ভুগছেন অথচ সঠিক কাউন্সেলিং বা চিকিৎসা নিচ্ছেন না।

সচেতনতা, স্বাস্থ্যশিক্ষা ও নিজের প্রতি যত্ন এই তিনটি বিষয়কেই নারীর জীবনে গুরুত্ব দিতে হবে। স্বাস্থ্য অবহেলা করলে কেবল শরীরই নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয় পরিবার, কর্মস্থল এবং সমাজও।


👉 আপনি কি কর্মজীবী নারী? আপনার অভিজ্ঞতা কেমন?
📢 কমেন্টে জানান
📲 শেয়ার করুন আপনার বন্ধুদের সঙ্গে—সচেতনতা ছড়াক, সুস্থ থাকুন!