চাটখিল ও সোনাইমুড়ী উপজেলায় পোস্টার-পোস্টার যুদ্ধ, সমর্থকদের মধ্যে সংঘাতের আশঙ্কা
বিজেনসটুডে২৪ প্রতিনিধি, নোয়াখালী: নোয়াখালী-১ আসন, যা চাটখিল ও সোনাইমুড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত, বিএনপির মধ্যে মনোনয়ন লড়াইয়ে নতুন উত্তাপ সৃষ্টি করেছে। সাবেক এমপি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন এই আসনের প্রার্থী হিসেবে সবচেয়ে শক্তিশালী বলে গণ্য হলেও, দলীয় নেতৃত্বের নজরে উঠে আসা নতুন চ্যালেঞ্জ তার জন্য বিপদ ডেকে আনছে।
এবারের মনোনয়ন লড়াইয়ে মাঠে নামেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মামুনুর রশীদ মামুন, সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এডভোকেট সালাহ উদ্দিন কামরান, এবং বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার মনির হোসেন কাজল। ইতিমধ্যেই আসনের বিভিন্ন এলাকায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের পোস্টার ও বিলবোর্ড মানুষের দৃষ্টি কাড়ছে।
চাটখিল উপজেলার এক বিএনপি সমর্থক রফিক উদ্দিন বলেন, “পোস্টারগুলো দিনে লাগানো হয়, কিন্তু রাতে অনেকগুলো ছিঁড়ে ফেলা হয়। এটা শুধু মানহানি নয়, মাঝে মধ্যে সংঘাতও ঘটছে।” তিনি আরও বলেন, “সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে কোন্দল এবং বিরোধিতার কারণে নেতাকর্মী ও সমর্থকরা নানা জায়গায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছেন।”
স্থানীয় এক ইউনিয়নের পদধারী নেতা বলেন, “আমি নাম প্রকাশ করতে চাই না। কিন্তু বলতে চাই, গত ষোল বছর ধরে যারা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন, তারা ব্যারিস্টার খোকনের কাছে আশ্রয় পেয়েছেন। তিনি বিনা পয়সায় আমাদের মামলা লড়েছেন। অথচ আজ দেখা যাচ্ছে, ওইসব নেতাদের মধ্যে কেউ কেউ এখন অন্য সম্ভাব্য প্রার্থীর পক্ষে স্লোগান দিচ্ছে। তবে মনোনয়ন চাইবার অধিকার সবার আছে। দল কাকে মনোনয়ন দেবে, সেটা এখন দেখার বিষয়।”
নির্বাচন এ আসনে বিএনপির জন্য বড় পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে। দলীয় সমর্থকরা জানান, মনোনয়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত যে কোনো ধরনের অশান্তি এবং সংঘাতের আশঙ্কা রয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নোয়াখালী-১ আসনে মনোনয়ন লড়াইয়ে উন্মুক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা দলের একাংশের মধ্যে বিভাজন তৈরি করতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত দলীয় ঐক্য বজায় রাখা এবং শক্তিশালী প্রার্থী নির্বাচনের মাধ্যমে আসনটি ধরে রাখা বিএনপির প্রধান লক্ষ্য হবে।