বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, পঞ্চগড়: হেমন্তের কার্তিক মাস বিদায় নিচ্ছে, আর শীতের নরমা আবেশে ভরা হাওয়া ধীরে ধীরে পঞ্চগড়ের বাতাসকে ছুঁয়ে যাচ্ছে। হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত সর্বোত্তরের জেলা তেঁতুলিয়ায় সকালভোরে রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা। কুয়াশা আর হিমেল বাতাসের সঙ্গে মিলেমিশে প্রকৃতি যেন নতুন রূপে জেগে উঠেছে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) ভোর ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে রেকর্ড করা এই তাপমাত্রা শীতের আগমনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৮ শতাংশে পৌঁছেছে, আর ফলে ভোরের শিশিরে ভেজা ঘাসে ঝলমল করছে সূর্যের প্রথম কিরণ। আগেরদিনও রোববার সকালে তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি, যা শীতের অনুভূতিকে আরও ঘনিয়ে তুলেছে।
উপজেলার গ্রাম-বস্তি ঘুরে দেখা গেছে, ভোরের নরম আলোয় কুয়াশা ভেসে বেড়াচ্ছে, সবুজ মাঠে শিশিরের বিন্দু যেন সূক্ষ্ম নান্দনিক ক্যানভাসে রঙ ছিটিয়ে দিচ্ছে। দিনের আলোয় খানিকটা উষ্ণতা থাকলেও রাত নামার সঙ্গে সঙ্গে শীত নেমে আসে। স্থানীয়রা কম্বল ও সোয়েটার হাতে নিয়ে শীতের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, “রাতের শেষে সকালে উঠলেই ঠান্ডা লাগে। বোঝা যায় শীত চলে এসেছে।” শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে পঞ্চগড় ও আশপাশের জেলায় শীতবস্ত্রের কেনাবেচা শুরু হয়েছে। গ্রামীণ হাটবাজারে কম্বল, লেপ ও জ্যাকেটের চাহিদা বাড়ছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “এ অঞ্চল দেশের শীতের জেলা হিসেবে পরিচিত। গত কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রা ১৯ থেকে ১৬ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করছে। আজ সকাল ৬টায় ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি রেকর্ড হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে।”
শীতের হাওয়ায় ভোরের কুয়াশা, শিশিরঝরা সবুজ মাঠ আর কম্বল মোড়া মানুষের ছোঁয়ায় যেন পঞ্চগড়ের প্রতিটি সকাল হয়ে উঠছে এক ছোট্ট কবিতা, যা হৃদয়কে শীতলতায় ভরিয়ে দিচ্ছে।










