বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ কনফারেন্স সেন্টারে (বিসিএফসিসি) আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা ‘বাংলাদেশ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ফেয়ার (বিটিটিএফ) ২০২৫’। ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) আয়োজিত এই মেলা হেব এ পর্যন্ত আয়োজিত আসরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ও জাঁকজমকপূর্ণ ।
এবারের মেলায় চারটি হলে প্যাভিলিয়নসহ ২২০টি স্টল থাকবে। অংশ নেবে ২৫০টির বেশি প্রদর্শক, বিশ্বের ২০টিরও বেশি দেশ থেকে দুই হাজারের বেশি বাণিজ্যিক প্রতিনিধি এবং পাঁচ হাজারের বেশি দর্শনার্থী।
মেলায় প্রথমবারের মতো মেডিকেল ট্যুরিজমের জন্য আলাদা জোন রাখা হয়েছে। প্লাস্টিকের ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। টেকসই পর্যটন প্রচারে দেশের আটটি বিভাগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ঐতিহ্যবাহী লোকজ কারুশিল্প প্রদর্শনের জন্য আলাদা জোন থাকবে, যেখানে প্রান্তিক কারুশিল্পীরা সরাসরি পণ্য বিক্রির সুযোগ পাবেন। দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য চালু করা হয়েছে মোবাইল অ্যাপ, যেখানে ভেন্যুর মানচিত্র এবং স্টলের তথ্য পাওয়া যাবে।
এই মেলায় প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছে টার্কিশ এয়ারলাইন্স। পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, চীন, সিঙ্গাপুর, জাপান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও তুরস্কের ট্যুর অপারেটররাও উপস্থিত থাকবেন।
মেলায় থাকবে বি টু বি সেশন, সেমিনার, গোলটেবিল আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, র্যাফেল ড্র এবং ছবি-ভিডিও-গল্প প্রতিযোগিতা। সাংবাদিকদের জন্যও থাকবে বিশেষ সম্মাননা।
এই বছরের আয়োজনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যুক্ত করা। টোয়াব দেশের ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যুক্ত করবে, যাতে তারা হাতে-কলমে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা পর্যটন খাতে চাকরির সুযোগও পাবেন।
বিটিটিএফকে শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক না রেখে ২০২৬ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন পর্যটন জোনে আঞ্চলিক মেলার আয়োজন করা হবে। খুলনা, সিলেট, রাজশাহী ও চট্টগ্রামে এসব মেলার মাধ্যমে স্থানীয় পর্যটন খাতকে নতুন উৎসাহ ও গতি দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান সায়েমা শাহীন সুলতানা বলেন, “বিটিটিএফ দেশের পর্যটন শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ আয়োজন। সরকার এ আয়োজন সফল করতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।”
টোয়াব সভাপতি রাফেউজ্জামান বলেন, “পর্যটনের টেকসই উন্নয়নই এ মেলার মূল উদ্দেশ্য। আশা করি, এই মেলা দেশের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখবে। এই মেলা শুধু ব্যবসায়ীদের নয়, সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্যও নতুন অভিজ্ঞতা এনে দেবে।”