Home আন্তর্জাতিক শ্লীলতাহানির ফাঁদ: ‘বাবা’র পর জালে ৩ ‘সঙ্গিনী’, স্বীকারোক্তিতে চাঞ্চল্য

শ্লীলতাহানির ফাঁদ: ‘বাবা’র পর জালে ৩ ‘সঙ্গিনী’, স্বীকারোক্তিতে চাঞ্চল্য

পার্থসারথি
বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক:দিল্লি শ্লীলতাহানিকাণ্ডে এ বার ‘বাবা’র ‘সঙ্গিনী’দের গ্রেফতার করল পুলিশ। টানা জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা সকলেই স্বীকার করেছেন যে ‘গুরুজি’র হয়ে ম্যানেজমেন্ট কলেজের ছাত্রীদের কাছে দরবার করতেন। ‘বাবা’র সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের জন্য জোর করতেন ছাত্রীদের। না শুনলে ভয় দেখাতেন, হুমকিও দিতেন। বৃহস্পতিবার ‘বাবা’ অর্থাৎ, স্বামী চৈতন্যানন্দ ওরফে পার্থসারথির ওই ‘সঙ্গিনী’দের গ্রেফতারির খবর জানিয়েছে দিল্লি পুলিশ।

দিল্লির শ্রীসারদা ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ান ম্যানেজমেন্ট কলেজের ডিরেক্টর ছিলেন পার্থসারথি। তাঁর বিরুদ্ধে ১৭ জন ছাত্রী শ্লীলতাহানি এবং ভয় দেখিয়ে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগ করেন পুলিশের কাছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই পুলিশ নড়েচড়ে বসে।

ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ‘বাবা’ পার্থসারথি পলাতক ছিলেন। পুলিশি তৎপরতায় অবশেষে তাঁকে আগ্রার একটি হোটেল থেকে পাকড়াও করা হয়েছে। তার আগে তদন্তকারীরা বিভিন্ন ছাত্রীকে পাঠানো পার্থসারথির হোয়াট্‌সঅ্যাপ মেসেজ উদ্ধার করেন। সেই মেসেজগুলিতে দেখা যায়, চৈতন্যানন্দ কোনও ছাত্রীকে বিদেশে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন। কাউকে আবার ‘ঘনিষ্ঠ কথাবার্তা’ বলার জন্য আকুতি জানাচ্ছেন। এমনকি এক ছাত্রীকে তিনি লিখেছেন, রাতে তাঁর বড্ড একা লাগছে এবং ছাত্রীটি যেন মেসেজ পাওয়ামাত্র আশ্রমে তাঁর ঘরে চলে যান।

অভিযোগকারিণীরা দাবি করেছিলেন, ‘বাবা’র দেখভালের জন্য থাকা মহিলাকর্মী বা সঙ্গিনীরা তাঁদের জোর করতেন ‘গুরুজি’র সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জন্য। তাঁদের কথা না শুনলে নানা ভাবে হেনস্থা করা হত এবং হুমকি দেওয়া হত। পুলিশ আগেই ওই তিন মহিলা সঙ্গীকে ডেকে তাঁদের বয়ান রেকর্ড করেছিল।

গ্রেপ্তারকৃত ‘বাবা’ পার্থসারথিকে জেরা করার পর এই তিন মহিলাকে পাকড়াও করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় এই মহিলারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছেন এবং জানিয়েছেন যে তারা ‘গুরুজি’র নির্দেশে ছাত্রীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করতেন। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ ধৃত ‘বাবা’ এবং তাঁর তিন মহিলা সঙ্গিনীকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করবে বলে জানিয়েছে। এই ঘটনা দিল্লিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।