অধ্যাপক মনজুর আহমেদ বলেন, “বর্তমানে সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে এবং প্রধান শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড নির্ধারণের ব্যাপারে আদালতের সমর্থন থাকলেও সরকার রিভিউ আবেদন করেছে।”
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা আবারও কর্মবিরতিতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসন এবং প্রধান শিক্ষকের শতভাগ পদে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতিসহ দ্রুত পদোন্নতির দাবিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
৫ মে থেকে কর্মবিরতি শুরু
প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের ব্যানারে ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী ৫ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত প্রতিদিন এক ঘণ্টা, ১৬ থেকে ২০ মে পর্যন্ত দুই ঘণ্টা এবং ২১ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা।
২৬ মে থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণ দিবস লাগাতার কর্মবিরতিতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমাজের সভাপতি মো. আনিসুর রহমান বলেন, “কমিটির সুপারিশ এন্ট্রি লেভেলে ১২তম গ্রেড দিলেও, আমরা চাই ১১তম গ্রেডেই সহকারী শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণ হোক। চাকরির উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা দূর করতে হবে এবং প্রধান শিক্ষকের পদে শতভাগ পদোন্নতি নিশ্চিত করতে হবে।”
পরামর্শক কমিটির সুপারিশ
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গঠিত ‘প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংস্কারে পরামর্শক কমিটি’ সুপারিশ করেছে, সহকারী শিক্ষক পদ বিলুপ্ত করে এন্ট্রি লেভেলেই ১২তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের। দুই বছর পর স্থায়ীকরণ এবং আরও দুই বছর পর ১১তম গ্রেডে সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতির ব্যবস্থা রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার এবং পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগের সুপারিশও করা হয়েছে।
কমিটির আহ্বায়ক ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক মনজুর আহমেদ বলেন, “বর্তমানে সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে এবং প্রধান শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড নির্ধারণের ব্যাপারে আদালতের সমর্থন থাকলেও সরকার রিভিউ আবেদন করেছে।”
শিক্ষক সংগঠনের অভিযোগ ও আশঙ্কা
শিক্ষক সংগঠনের নেতারা বলছেন, শিক্ষকদের স্বতন্ত্র মর্যাদা ও উচ্চতর বেতন কাঠামো নিশ্চিত না হলে কর্মবিরতি আরও তীব্র হবে, যা প্রাথমিক শিক্ষায় অচলাবস্থা সৃষ্টি করতে পারে।










