Home সারাদেশ নাটোরে দুই স্কুলছাত্রকে গেটের সঙ্গে বেঁধে মারধরের অভিযোগ

নাটোরে দুই স্কুলছাত্রকে গেটের সঙ্গে বেঁধে মারধরের অভিযোগ

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, নাটোর: নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছে অষ্টম শ্রেণির দুই স্কুলছাত্র। স্থানীয় চাঁদপুর রফাতুল্লাহ সোনার উচ্চ বিদ্যালয়ের লোহার কেঁচি গেটের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে তাদের বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে।

ঘটনাটি ঘটে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার ডুমরাই সমজানপাড়া গ্রামে। তবে রোববার তা জানাজানি হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা হলো—ডুমরাই গ্রামের মো. আবু তালহা শাফিন (১৪) এবং কামারপাড়া গ্রামের জয় আহম্মেদ (১৪)। তারা দুজনই অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। শাফিন বর্তমানে বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

শাফিনের বাবার দায়ের করা অভিযোগে বলা হয়েছে, বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী মো. লতিফ সোনার (৪৫) এবং তার ভাতিজা স্থানীয় যুবক মো. হাবিল সোনার (২৮) ওই দুই ছাত্রকে আটক করে গালিগালাজসহ এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড়, কিল-ঘুষি ও লাথি মারে। একপর্যায়ে নাইলনের রশি কিনে এনে তাদের গেটের সঙ্গে বেঁধে রাখে। এমনকি ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যাচেষ্টাও চালায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। শাফিনের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়।

ভুক্তভোগী শাফিন সাংবাদিকদের বলেন, “স্কুলের জানালার কাঁচ আসল না প্লাস্টিক—এ নিয়ে বন্ধুদের মধ্যে বাজি ধরেছিলাম। তখন ধাক্কাধাক্কির কারণে সামান্য কাঁচ ভেঙে যায়। এরপরই লতিফ স্যার এসে আমাদের ধরে মারধর শুরু করেন। তার ভাতিজাও যোগ দেন। পরে আমাদের রশি দিয়ে গেটের সঙ্গে শক্ত করে বেঁধে পেটানো হয়।”

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আয়ুব আলী জানান, ঘটনার দিন স্কুল ছুটি ছিল। তিনি বলেন, “নৈশপ্রহরী লতিফ আমাকে জানিয়েছেন যে, জানালার কাঁচ ভাঙতে দেখে ছাত্রদের ধরে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তবে রশি দিয়ে বাঁধার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন।”

অভিযুক্ত নৈশপ্রহরী লতিফ নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, “আমি শুধু কাঁচ ভাঙার কারণে তাদের ধরে রেখেছিলাম। মারধর বা রশি দিয়ে বাঁধার কাজ করিনি। অনেক লোক জমায়েত হয়েছিল, হয়তো তাদের মধ্যে কেউ বেঁধে থাকতে পারে।”

বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজর রহমান জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।