Home Third Lead রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম দেখলে লজ্জা লাগে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম দেখলে লজ্জা লাগে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: স্বাধীনতার পূর্বে বৈচিত্র্যময় পণ্য উৎপাদন ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও বর্তমানে শিল্প উৎপাদনে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম দেখলে লজ্জা লাগে—এ মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেন, যন্ত্রাংশ ও যুক্তকরণের কাজে যাত্রা শুরু করা বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেড এখন হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করছে, আর বাংলাদেশ ডিজেল প্ল্যান্ট লিমিটেডের মতো প্রতিষ্ঠান, যাদের গাড়ি উৎপাদন সক্ষমতা থাকা উচিত ছিল, তারা কেবল গাড়ির ফিল্টার তৈরির চুক্তি করছে।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) তেজগাঁও শিল্প এলাকায় এডিসন প্রাইম ভবনে অনুষ্ঠিত ‘রোড টু মেড ইন বাংলাদেশ অ্যান্ড অ্যাগ্রো মেশিনারি ফেয়ার ২০২৫’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পূর্বে যেখানে বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো ছিল, আজ আমরা বছরে চার-পাঁচ লাখ মোটরসাইকেল উৎপাদন করছি, অথচ এখনও একটি ইঞ্জিনও বানাতে পারিনি। বিশ্বে যেখানে ড্রোন ও রোবট ব্যবহার করে কৃষিকাজ হচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশ পাওয়ার টিলার ও কম্বাইন হারভেস্টারে আটকে রয়েছে।

শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, শিল্পের সক্ষমতা বাড়াতে একটি পরিষ্কার মডেল দরকার। ব্যয়ের উদ্বৃত্ত তৈরি করে ‘স্ট্যান্ডারাইজড’ পদ্ধতিতে সাময়িক ত্যাগ স্বীকার করে শিল্পকে এগিয়ে নিতে হবে। তিনি বলেন, পূর্বের প্রজন্মের ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্যোগ ও নতুনত্ব দেখা যেত, যা বর্তমান প্রজন্মে নেই। অনেকেই ভোগবাদে আচ্ছন্ন এবং নতুন উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে ১০১টি অজুহাত খুঁজে বের করেন।

এ সময় হোসেন জিল্লুর রহমান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও পিপিআরসি নির্বাহী চেয়ারম্যান, বলেন, গত ৩০ বছর বাংলাদেশ রেমিট্যান্স ও পোশাক খাতের ওপর নির্ভরশীলভাবে এগিয়েছে। তবে এগুলো আর অর্থনীতির মূল চালক হিসেবে থাকবে না। এখন কৃষি, এসএমই ও প্রযুক্তিনির্ভর খাতকে অর্থনীতির মূল চালক হিসেবে লালন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় চাহিদা হল ন্যাশনাল ঐকমত্যের মধ্যে অর্থনীতির দিকনির্দেশনা স্থাপন করা। সাময়িক অগ্রগতি নয়, এখন দেশকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিতে হবে, কর্মসংস্থান ও এসএমই বান্ধব নীতি প্রয়োজন।