বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: জনস্বার্থে সরকার একযোগে ১৮ জন বিচারককে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১৫ জন জেলা ও দায়রা জজ মর্যাদার কর্মকর্তা এবং বাকিরা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং যুগ্ম জেলা জজ পদে কর্মরত ছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-৩ থেকে এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের এসব কর্মকর্তার চাকরির মেয়াদ ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৪৫ ধারা অনুসারে জনস্বার্থে তাঁদের অবসর দেওয়া হলো।’
বাধ্যতামূলক অবসরপ্রাপ্ত বিচারকদের মধ্যে রয়েছেন:
- বিকাশ কুমার সাহা (জেলা ও দায়রা জজ, আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত)
- শেখ মফিজুর রহমান (রাজবাড়ী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল)
- মাহবুবার রহমান সরকার (কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১)
- শেখ গোলাম মাহবুব (কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল)
- মজিবুর রহমান (গাইবান্ধা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১)
- এহসানুল হক (ভোলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল)
- জুয়েল রানা (খুলনা জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল)
- মনির কামাল (সিলেট সাইবার ট্রাইব্যুনাল)
- সহিদুল ইসলাম (পটুয়াখালী বিশেষ জজ)
- আল মাহমুদ ফায়জুল কবীর (দিনাজপুর বিশেষ জজ)
- মো. নাজিমুদ্দৌলা (টাঙ্গাইল জেলা জজ)
- এ. কে. এম. মোজাম্মেল হক চৌধুরী (ঠাকুরগাঁও নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল)
- ফজলে এলাহী ভূইয়া (হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-৩)
- আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান (আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত জেলা জজ)
- মো. রুস্তম আলী (বরিশাল প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের সদস্য)
- মো. নুরুল ইসলাম (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত)
- এ. কে. এম. এনামুল করিম (পটুয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ)
- মোহাম্মদ হোসেন (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত)
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, এই অবসরপ্রাপ্ত বিচারকরা বিধি অনুযায়ী তাঁদের প্রাপ্য সব অবসর-সুবিধা ভোগ করবেন। অবসরাদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ অনুসারে, ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পর রাষ্ট্রের প্রয়োজন ও জনস্বার্থ বিবেচনায় কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া যায়। তবে এত সংখ্যক বিচারককে একসঙ্গে অবসরে পাঠানোর ঘটনা বিচার প্রশাসনে বড় রদবদলের ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।