বিজেনসটুডে২৪ প্রতিনিধি, সীতাকুণ্ড ( চট্টগ্রাম): উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর এক প্রতিবাদ সমাবেশে সশস্ত্র হামলা হয়েছে। শুক্রবার (৯ মে) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে এস এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১২ জন জামায়াত নেতা-কর্মী আহত হন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওইদিন একই সময়ে জঙ্গল সলিমপুর এলাকায় জামায়াত ও বিএনপির পৃথক সভা ছিল। জঙ্গলসলিমপুর এসএস পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও জামায়াতের নেতা শহিদুল ইসলামের উপর ওপর হামলার প্রতিবাদে একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। অন্যদিকে কাছাকাছি একটি মাদ্রাসায় বিএনপির প্রস্তুতি সভা চলছিল, যেখানে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরীর উপস্থিত থাকার কথা ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জামায়াতের সভা শুরুর কিছুক্ষণ পর হঠাৎ ২০-৩০ জনের একটি দল সমাবেশস্থলে এসে গুলি ছুড়তে শুরু করে। এতে কুতুব উদ্দিন শিবলী, মোহাম্মদ আলী, আব্দুস সালামসহ জামায়াতের অন্তত ১২ জন নেতা-কর্মী আহত হন। এদের মধ্যে কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জামায়াত নেতারা অভিযোগ করেছেন, পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসীরা এই হামলা চালিয়েছে এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরীসহ কয়েকজনকে অবরুদ্ধ করে রাখে। তাদের দাবি, হামলায় রিদওয়ান, ফারুক, লাল বাদশা, আমজাদ ও লেদা নামের স্থানীয় সন্ত্রাসীরা অংশ নেন এবং ‘রোকন মেম্বার’ নামে পরিচিত এক নেতার নাম ধরে স্লোগান দেন।
এ বিষয়ে জানতে রোকন মেম্বারের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহেল রানা বলেন, “বিএনপি ও জামায়াত উভয় দলই এদিন আলাদা আলাদা কর্মসূচি পালন করছিল। বিএনপির কয়েকজন কর্মী জামায়াতের সমাবেশকে অন্য রাজনৈতিক দলের সভা মনে করে হামলা চালায়। পুলিশ পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরুদ্ধ নেতাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।”
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড থানার ওসি মজিবুর রহমান জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে, এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম বলেন, “সমাবেশে হামলার খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয় এবং দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে আহতদের উদ্ধার করা হয়।”
স্থানীয়ভাবে উত্তেজনা বিরাজ করছে, এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জামায়াত নেতারা দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও জঙ্গল সলিমপুরে স্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।