বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: ৪৮ ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত কিন্তু ব্যাপক এয়ারস্পেস নিষেধাজ্ঞার পর পাকিস্তান আবারও পুরোপুরি চালু করেছে দেশের বিমান চলাচল। সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি সোমবার রাতে এক নতুন নোটাম জারি করে এই সিদ্ধান্ত জানায়, যার ফলে করাচি, লাহোর, ইসলামাবাদ ও কোয়েটার মতো শহরের আকাশপথ পুনরায় উন্মুক্ত হয়।
সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটির এক কর্মকর্তা জানান, “আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে সতর্কতামূলক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি বিবেচনায় আকাশপথ উন্মুক্ত করা হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট রুট ও সময়সূচি নির্ধারণ করবে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন সংস্থাগুলো।”
সতর্কতা বজায় রাখার পরামর্শ: যদিও বিমানবন্দরগুলো কার্যক্রমে ফিরেছে, তবুও যাত্রীদের সতর্ক থাকতে এবং ভ্রমণের আগে ফ্লাইট স্ট্যাটাস যাচাই করতে বলা হয়েছে। করাচির জিন্নাহ ইন্টারন্যাশনাল ও লাহোরের আল্লামা ইকবাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর খুলে দেওয়া হলেও, শেষ মুহূর্তে সময়সূচিতে পরিবর্তন হতে পারে।
সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি র সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, “ফ্লাইট কনফার্মেশন না পেয়ে যাত্রীরা যেন বিমানবন্দরের দিকে না যান।”
কেন বন্ধ হয়েছিল ফ্লাইট? শনিবার রাতে ঘোষিত এ নিষেধাজ্ঞায় পাকিস্তানের সব বড় এভিয়েশন হাব কার্যত অচল হয়ে পড়ে। ইসলামাবাদ বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট বাতিল করে incoming ফ্লাইটগুলোকে করাচিতে পাঠানো হয়। রাষ্ট্রীয় বিমানসংস্থা পিআইএ ১২ ঘণ্টার জন্য সব ফ্লাইট স্থগিত করেছিল।
অবশ্য সরকারিভাবে নিষেধাজ্ঞার কারণ স্পষ্ট করা না হলেও, সাম্প্রতিক ভূরাজনৈতিক উত্তেজনাকেই মূল কারণ বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
বর্তমানে ফ্লাইট চলাচল ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ার দিকে গেলেও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো এখনো সতর্ক। এক অনিশ্চিত পরিবেশে আকাশপথের এই অস্থায়ী বন্ধ থাকা ফের স্মরণ করিয়ে দেয়—ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি কীভাবে বিশ্ব যাতায়াতকে ক্ষণিকেই বন্ধ করে দিতে পারে।
পাকিস্তানে ৪৮ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা শেষে আবারও চালু হয়েছে ফ্লাইট চলাচল। CAA জানিয়েছে, সতর্কতা হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। যাত্রীদের ভ্রমণের আগে ফ্লাইট স্ট্যাটাস যাচাইয়ের পরামর্শ।