আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মুম্বাইয়ের ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (সিএসএমআই) টানা তিন দিনের অভিযানে মুম্বাই কাস্টমস জোন-৩-এর কর্মকর্তারা বিপুল পরিমাণ মাদক ও বিরল বিদেশি প্রাণী জব্দ করেছেন। এ ঘটনায় তিনজন যাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার এক সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়।
কাস্টমস বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, প্রথম অভিযানটি চালানো হয় ২০২৫ সালের ৯ আগস্ট। প্রোফাইলিংয়ের মাধ্যমে সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করা হয় ব্যাংকক থেকে আগত এক যাত্রীকে। তার ট্রলি ব্যাগ তল্লাশি করে কর্মকর্তারা ২.৮৭৩ কেজি হাইড্রোপনিক গাঁজা (মারিজুয়ানা) উদ্ধার করেন, যা ব্যাগের ভেতরে অত্যন্ত কৌশলে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। উদ্ধারকৃত মাদকের বাজারমূল্য আনুমানিক ২ কোটি ৮৭ লাখ রুপি। এ ঘটনায় যাত্রীকে মাদকদ্রব্য ও মনঃপ্রভাবিত পদার্থ আইন (এনডিপিএস অ্যাক্ট) ১৯৮৫-এর আওতায় গ্রেপ্তার করা হয়।
পরদিন ১০ আগস্ট ২০২৫, একই ধরণের আরেকটি অভিযান চালানো হয়। আবারও ব্যাংকক থেকে আগত এক যাত্রীর ট্রলি ব্যাগ থেকে ২.৩৩৯ কেজি হাইড্রোপনিক গাঁজা উদ্ধার করা হয়, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ২ কোটি ৩৩ লাখ রুপি। এই যাত্রীকেও এনডিপিএস অ্যাক্ট অনুযায়ী গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর ১১ আগস্ট ২০২৫, নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ব্যাংকক থেকে আসা এক যাত্রীকে আটক করা হয়। তল্লাশির সময় ধূসর রঙের ট্রলি ব্যাগ খুলে কর্মকর্তারা হতবাক হয়ে যান—ভেতরে লুকিয়ে রাখা ছিল বিপুলসংখ্যক জীবন্ত বিরল প্রাণী।
জব্দকৃত প্রাণীর মধ্যে ছিল—
- মিয়ারক্যাট – ৩টি
- কমন ব্লু টাং স্কিঙ্ক – ১টি
- ফোর আইড টার্টল – ১টি
- লাল ও সবুজ ইগুয়ানা – ২টি
- বিভিন্ন প্রজাতির ট্যারান্টুলা (যেমন পিঙ্কটো, ব্র্যাকিপেলমা, অ্যান্টিলিস পিঙ্কটো)
- সেরাম ম্যানগ্রোভ মনিটর লিজার্ড – ৩টি
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, অভিযুক্ত যাত্রীকে কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬২ ও বন্যপ্রাণী সুরক্ষা আইন ১৯৭২-এর অধীনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।