বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক:
আজকের তরুণ সমাজ অনেক বেশি সচেতন, সংযুক্ত ও বিশ্লেষণক্ষম। তারা শুধু ব্র্যান্ড দেখে মোহে পড়ে না, বরং প্রশ্ন তোলে, খতিয়ে দেখে, যাচাই করে। এক সময় হয়তো জনপ্রিয়তার ঢেউ দেখে কেউ ব্র্যান্ডের প্রতি আকৃষ্ট হতো। কিন্তু এখন? এখন তারা জানে সত্যিকারের সম্পর্ক তৈরি হয় সময়ের সঙ্গে, আস্থার ভিত্তিতে। আর এখানেই উঠে আসে বড় এক দ্বন্দ্ব: বিশ্বস্ততা না জনপ্রিয়তা?
তরুণদের অনেকেই বলেন, “ট্রেন্ডি” কোনো পণ্যের আকর্ষণ স্বল্পমেয়াদি। আজ যে ব্র্যান্ড ইনফ্লুয়েন্সারদের মুখে মুখে, কাল তা হারিয়ে যেতে পারে। কিন্তু যে ব্র্যান্ড বারবার প্রমাণ দিয়েছে—পণ্যের মান, ব্যবহার-পরবর্তী সেবা, মূল্যবোধে অটলতা, সেই ব্র্যান্ডই থেকে যায় মনের ভেতর।
মীম, একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী, জানায়, “আমি এমন ব্র্যান্ডকে বেশি বিশ্বাস করি, যারা সবসময় মান বজায় রাখে, সময়মতো সাড়া দেয়। শুধু নাম নয়, ব্র্যান্ডের ভেতরের মন-মানসিকতা, ব্যবহারকারীর প্রতি সম্মান—এসব দেখি আমি।”
তরুণদের মধ্যে একটি নতুন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তারা ‘হাইপ’ নয়, ‘হার্ট’-এর দিকে তাকায়। একবার যাকে তারা বিশ্বাস করে, তার প্রতি থাকে একধরনের গভীর অনুরাগ, এমনকি অন্য ব্র্যান্ডের চটকদার প্রচারণাও সেই সম্পর্ক ভাঙতে পারে না।
আর এই সম্পর্ক গড়ে উঠে ধাপে ধাপে—সময় নিয়ে। জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হয়তো প্রথম নজর কাড়ে, কিন্তু বিশ্বস্ত ব্র্যান্ড চুপচাপ জায়গা করে নেয় হৃদয়ের গভীরে।
তরুণদের বিশ্বাসের জন্য এখন আর কেবল বিজ্ঞাপন বা সোশ্যাল মিডিয়া রিলই যথেষ্ট নয়। তারা ব্র্যান্ডের কাজ, কণ্ঠস্বর, সমাজে ভূমিকা সব বিচার করে। সেখান থেকেই তারা বুঝে ফেলে: এই ব্র্যান্ডটি কি আমার পাশে থাকবে, যখন আমি বড় হবো? আমার স্বপ্নগুলোকে সঙ্গ দেবে?
এই পর্বে আমরা দেখলাম, কেবল জনপ্রিয় হয়ে ওঠাই যথেষ্ট নয়। বিশ্বস্ততা গড়ে তুলতে হয় দায়বদ্ধতা, সততা এবং সময় দিয়ে। আর এই বিশ্বস্ত ব্র্যান্ডের সঙ্গেই গড়ে ওঠে নতুন প্রজন্মের আসল সম্পর্ক।
পরবর্তী পর্বে:
“কথায় নয়, কাজে – তরুণদের জন্য ব্র্যান্ড কী করছে?”
এই পর্বে তুলে ধরা হবে—তরুণরা কিভাবে ব্র্যান্ডের কথার চেয়ে কাজকে বেশি গুরুত্ব দেয় এবং বাস্তব উদাহরণে তারা মূল্যায়ন করে ব্র্যান্ডের আন্তরিকতা।