আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রে কাঁচা তেলের মজুদ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় বিশ্ববাজারে তেলের দাম ব্যাপকভাবে কমেছে। বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক তেল বাজারে ব্রেন্ট ক্রুড এবং মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুডের দাম প্রায় ৩.৩ শতাংশ কমে যথাক্রমে ৬৩.৯৩ এবং ৬১.০৫ ডলারে নেমে আসে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে ৩.৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেলের মজুদ বৃদ্ধির খবর বাজারে অতিরিক্ত সরবরাহের আশঙ্কা বাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, মে ৯ তারিখে শেষ হওয়া সপ্তাহে দেশটির তেলের মজুদ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়েছে যা বাজারের প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। এর পাশাপাশি, এপিআই শিল্প ডেটাও একই ধরণের মজুদ বৃদ্ধির কথা নিশ্চিত করেছে।
তেলের দাম গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ৫৫ থেকে ৬৫ ডলারের মধ্যে ওঠানামা করছিল। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, অতিরিক্ত মজুদ এবং স্থিতিশীল সরবরাহ পরিস্থিতিতে তেলের দাম পরবর্তী সময়ে আরো কমে ৫০ ডলারের কাছাকাছি নামার সম্ভাবনা রয়েছে, যদি কোনও বড় ভূ-রাজনৈতিক ঘটনা না ঘটে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র-ইরানের পারমাণবিক আলোচনার সম্ভাব্য সফলতার কারণে ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়ার আশঙ্কা বিশ্বজুড়ে তেলের সরবরাহ বাড়াতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সৌদি আরব এ আলোচনাকে সমর্থন জানিয়ে ইতিবাচক ফলাফল কামনা করেছে।
তবে, OPEC+ সদস্য দেশগুলো এ বছর সরবরাহ বাড়ানোর কথা জানালেও, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য তেল উৎপাদক দেশের সরবরাহ বৃদ্ধির পূর্বাভাস কিছুটা কমিয়েছে, যা বাজারের ওপর প্রভাব ফেলছে।
সার্বিকভাবে, যুক্তরাষ্ট্রে তেলের মজুদ বৃদ্ধিই বর্তমানে বাজারে তেলের দাম কমার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যা বিশ্ব অর্থনীতিতে সরবরাহ ও চাহিদার ভারসাম্যকে প্রভাবিত করতে পারে।