বিনোদন ডেস্ক: দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কে একঘেয়েমি আসা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু সম্পর্ক বাঁচিয়ে রাখতে প্রয়োজন একটু চেষ্টার, সামান্য ভালোবাসার ছোঁয়া। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, নিচের এই দশটি রোমান্টিক অভ্যেস আপনার সম্পর্ককে আবারও সজীব করে তুলতে পারে।
১. পুরনো জায়গায় ফিরে যাওয়া
আপনারা প্রথম যেখানে দেখা করেছিলেন, কিংবা যেখানে একসাথে সুন্দর সময় কাটিয়েছিলেন—সেই জায়গাগুলো আবার একসাথে ঘুরে দেখুন। পুরনো স্মৃতি আপনাদের মধ্যে হারিয়ে যাওয়া উচ্ছ্বাস ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।
২. মোবাইল ফোন সরিয়ে রাখুন
প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলার সময় পুরো মনোযোগ দিন। বারবার ফোন চেক করলে আপনি তাকে অবহেলা করছেন এমন একটা বার্তা চলে যায়। মনোযোগ দিয়ে কথা বললে বোঝাপড়াও বাড়বে।
৩. মনের ক্ষোভ আগুনে পুড়িয়ে দিন
একটি শান্ত পরিবেশে বসে আলাদা কাগজে একে অপরের প্রতি জমে থাকা ক্ষোভগুলো লিখে ফেলুন, তারপর তা আগুনে পুড়িয়ে ফেলুন। এটা প্রতীকীভাবে পুরনো রাগ মুছে ফেলার একটি চমৎকার উপায়।
৪. ধন্যবাদ বলুন
একটা সাধারণ ‘ধন্যবাদ’ও সম্পর্ককে দৃঢ় করতে পারে। ছোটখাটো বিষয়েও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। এতে একে অপরের গুরুত্ব বুঝতে পারবেন।
৫. নিজেকে নিয়ে কাজ করুন
নিজের পছন্দ-অপছন্দ, শখ বা আগ্রহগুলো ধরে রাখুন। আত্মপরিচয়ের বিকাশ একজনকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে এবং সম্পর্কেও তা ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
৬. ডেট নাইট করুন
সময়ের অভাবে অনেকেই একে অপরের জন্য সময় বের করতে পারেন না। নির্দিষ্ট দিনে বাইরে খেতে যাওয়া, একসাথে সিনেমা দেখা কিংবা ছোট্ট ভ্রমণ—এগুলো ডেট নাইট হতে পারে।
৭. হাসুন, মজা করুন
হালকা ঠাট্টা, মজার কথা বা একসাথে হাসতে পারা সম্পর্ককে মজবুত করে। জীবনের চাপের মাঝে এই আনন্দময় মুহূর্তগুলো বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
৮. শারীরিক ভালোবাসা প্রকাশ করুন
জড়িয়ে ধরা, চুমু খাওয়া বা হাত ধরা—এই ছোট ছোট স্পর্শে ভালোবাসা অনেক বেশি গভীরভাবে প্রকাশ পায়। এটি মানসিক সম্পর্কেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
৯. প্রথম পদক্ষেপ নিন
আপনার সঙ্গী সবসময় প্রথমে এগিয়ে আসবে—এই প্রত্যাশা ভুলে যান। ভালোবাসা প্রকাশে আপনি নিজেই প্রথম হোন, দেখবেন সম্পর্ক অনেক সহজ হয়ে উঠবে।
১০. কেন প্রেমে পড়েছিলেন মনে করুন
আপনারা একে অপরের প্রেমে পড়েছিলেন ঠিক কোন কারণে? সেই বিষয়গুলো আবার মনে করুন, একে অপরকে সেই প্রশংসাগুলো আবার বলুন। এতে দুজনই নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ অনুভব করবেন।
সম্পর্ক একদিনে গড়ে ওঠে না, আবার একদিনেই ভেঙে যায় না। বরং প্রতিদিনের ছোট ছোট অভ্যেসই একে টিকিয়ে রাখে।