বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, নরসিংদী: ভূমিকম্পে ধসে পড়া সানশেডের নিচে চাপা পড়ে বাবা–ছেলের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে নরসিংদী সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের গাবতলি এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন দেলোয়ার হোসেন উজ্জ্বল (৩৮) এবং তার ছোট ছেলে ওমর আলী (১০)। গুরুতর আহত অবস্থায় উজ্জ্বলের দুই মেয়ে উষা (১৭) ও তবুফা (১৪) নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছুটির সকালে সন্তানদের নিয়ে বাসায় ছিলেন উজ্জ্বল। সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ভূমিকম্প অনুভূত হলে তিনি দ্রুত সন্তানদের নিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করেন। ঠিক সেই মুহূর্তে পাশের নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল থেকে ইট ভেঙে তাদের ভাড়া বাসার ছাদের ওপর পড়ে। চাপ সহ্য করতে না পেরে সানশেড ভেঙে তাদের ওপর এসে পড়ে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেন। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বাবা–ছেলেকে ঢামেকে পাঠানো হয়। দুপুরে ওমরকে মৃত ঘোষণা করা হয় এবং সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় উজ্জ্বল মারা যান।
উজ্জ্বলের স্বজনরা জানান, প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি নরসিংদীর জুট করপোরেশনে চাকরি করতেন। বছর চারেক আগে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে গাবতলিতে ভাড়া বাসায় উঠেন। ঘটনার সময় তার স্ত্রী গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। স্বামী ও ছেলের আকস্মিক মৃত্যুতে তিনি শোকে এবং মানসিক বিপর্যয়ে পড়েছেন।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. ফরিদা গুলশানারা কবির জানান, বাবা–ছেলের অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর ছিল বলেই দ্রুত ঢাকায় পাঠানো হয়। আহত দুই মেয়ে স্থিতিশীল অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে ভূমিকম্পের ঘটনায় জেলার আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। পলাশ উপজেলায় মাটির ঘরের দেয়াল ধসে কাজেম আলী ভূঁইয়া (৭৫) নিহত হন। শিবপুরে গাছ থেকে পড়ে মারা যান ফোরকান মিয়া (৪৫)। একই সময়ে আতঙ্কে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কাজীরচর নয়াপাড়া গ্রামের নাসির উদ্দিন (৬৫) মারা যান। স্থানীয় প্রশাসন ঘটনাগুলো তদন্ত করছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।










