বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: মহানগরীর মনসুরাবাদ এলাকায় পাঁচ বছর ধরে হেলে থাকা একটি সাততলা ভবন শুক্রবার সকালের ভূমিকম্পে আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, ভবনটি পাশের আরেকটি ভবনের দিকে হেলে পড়েছে এবং পরিস্থিতি ঘনিয়ে উঠতে পারে। ভবনটি সাবেক মেয়র মনজুর আলমের মালিকানাধীন বলে এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবুল আজাদ বলেন, স্থানীয়দের কেউ কেউ দাবি করেছেন ভবনটি আগে থেকেই সামান্য হেলানো ছিল, আবার অনেকে জানিয়েছেন সাম্প্রতিক ভূমিকম্পেই এটি স্পষ্টভাবে হেলে গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বাসিন্দাদের সর্তক অবস্থায় থাকতে বলেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চট্টগ্রাম বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষ জানায়, তাদের একটি টিম ভবনটি পরিদর্শন করেছে। স্থানীয়দের কাছ থেকেও জানা গেছে ভবনটি বহুদিন ধরে বাঁকা অবস্থায় রয়েছে। সাততলা এ ভবনে প্রায় ১০টি পরিবার বাস করেন। নিচতলায় ‘ডায়াবেটিস কেয়ার’ নামে একটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা কেন্দ্রও চলছে। বাসিন্দাদের ঝুঁকি বিবেচনায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
পাশের ভবনের মালিক আব্দুল্লাহ বিন আশরাফ বলেন, পাঁচ বছর আগে ভবনটি দৃশ্যমানভাবে হেলে পড়েছিল। বিষয়টি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (সিডিএ) জানানো হলে উপরের দুইতলা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে সেই নির্দেশ ভবন মালিক বাস্তবায়ন করেননি। ভূমিকম্পের পর ভবনটি আরও হেলে পড়েছে, যা আশপাশের মানুষের উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, ভবনটি ইতিমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রয়েছে। ভবন মালিক নিজ উদ্যোগে ব্যবস্থা না নিলে সিটি করপোরেশনকে ভবনটি ভাঙার জন্য তালিকা পাঠানো হবে।
ভবনটির মালিক ও সাবেক মেয়র মনজুর আলম বলেন, ভবন হেলে পড়ার খবর পাওয়ার পর তা পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রকৌশলীদের মতামত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শুক্রবার চট্টগ্রামে ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। যদিও নগরের অন্য কোথাও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি, মনসুরাবাদের এই ভবনের ঝুঁকি নতুন করে আলোচনায় এসেছে।
