বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় দগ্ধ চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী আয়মান (১০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। তার মৃত্যুতে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৪ জনে। আর সমগ্র দুর্ঘটনায় মোট প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৫।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ফিমেল হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আয়মানের মৃত্যু হয়। ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান জানান, আয়মানের শরীরের ৪৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল, কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
আয়মান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবার নাম ইসমাইল হোসেন। বাড়ি শরীয়তপুর জেলার বদরগঞ্জ থানার নারায়ণপুর গ্রামে। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আয়মানের জানাজা ও দাফন নিজ গ্রামেই সম্পন্ন হবে।
গত সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরে বিমান বাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান দিয়াবাড়িতে অবস্থিত ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। মুহূর্তেই আগুন ধরে যায় পুরো ভবনে। এতে বহু শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারী দগ্ধ হন। তাদের মধ্যে অনেকেই এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
দুর্ঘটনার পর দিন বুধবার (২৩ জুলাই) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) ৩২ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুই শিক্ষার্থী মারা যায়। আজ শুক্রবার আয়মানের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে প্রাণহানি ৩৫-এ পৌঁছেছে।
ঘটনার পর গোটা দেশজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। আয়মানের মৃত্যুতে তার পরিবারে চলছে আহাজারি। শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছে তার সহপাঠী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
এ দুর্ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তে সরকার ইতোমধ্যে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। একইসঙ্গে দায়ীদের শনাক্ত করে উপযুক্ত বিচার দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন নাগরিক সমাজ ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের অভিভাবকরা।