আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরায়েলে শনিবার থেকে মার্কিন সেনারা পৌঁছাতে শুরু করেছেন, যারা গাজার যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন তদারকির জন্য গঠিত একটি যৌথ টাস্কফোর্সে কাজ করবেন বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে জানানো হয়েছে।
এবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানানো হয়েছে যে প্রায় ২০০ জন মার্কিন সেনা ইসরায়েলে পৌঁছাবেন। তারা একটি “সমন্বয় কেন্দ্র” (coordination center) স্থাপন করবেন, যা গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির বাস্তবায়ন তদারকি করবে। এই দলটি পরিবহন, পরিকল্পনা, লজিস্টিক, নিরাপত্তা ও প্রকৌশলসহ বিভিন্ন বিষয়ে কাজ করবে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন সেনারা গাজা উপত্যকায় প্রবেশ করবেন না। তারা শুধুমাত্র ইসরায়েলের ভেতরেই দায়িত্ব পালন করবেন এবং কাজটি হবে মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ড (CENTCOM) প্রধান অ্যাডমিরাল ব্র্যাডলি কুপারের নেতৃত্বে। এতে অঞ্চলের আরও কয়েকটি দেশের সামরিক ইউনিট ও টিম অংশ নেবে।
গত বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন যে, ইসরায়েল ও হামাস তার প্রস্তাবিত ২০ দফা যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার প্রথম ধাপে সম্মত হয়েছে। এই ধাপে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর, ইসরায়েলে আটক ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দির বিনিময়ে সব ইসরায়েলি বন্দি মুক্তি এবং ধীরে ধীরে গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে।
পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপে গাজায় হামাসবিহীন নতুন একটি শাসন কাঠামো গঠন, আরব ও ইসলামিক দেশগুলোর সেনা নিয়ে একটি যৌথ নিরাপত্তা বাহিনী তৈরি এবং হামাসকে নিরস্ত্র করার প্রক্রিয়া অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রায় ৬৭ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া গাজা এখন কার্যত অবাসযোগ্য হয়ে পড়েছে।