আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মালয়েশিয়ার মুসলমানরা এবছর ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন আগামী ৭ জুন শনিবার। এই ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির শাসক পরিষদের সহকারী সচিব দাতুক মোহাম্মদ আসেরাল জুসমান। দেশটির সরকারি গণমাধ্যম বারনামা গত রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছে।
জানানো হয়, মহামান্য মালয়েশিয়ার রাজার নির্দেশনা এবং দেশের সম্মানিত শাসকদের অনুমোদনের পর শাসকদের সিলরক্ষকের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা প্রদান করা হয়েছে। দাতুক মোহাম্মদ আসেরাল বলেন, “মালয়েশিয়ার সকল রাজ্যে ১৪৪৬ হিজরির ১ জিলহজ ২০২৫ সালের ২৯ মে, বৃহস্পতিবার পড়ছে। সে অনুযায়ী, জিলহজ মাসের ১০ তারিখ অর্থাৎ ৭ জুন, শনিবার মালয়েশিয়ার সকল মুসলমানদের জন্য ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে।”
ঈদুল আজহার এই নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী দেশজুড়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে উৎসবের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ইতোমধ্যেই এই পবিত্র উপলক্ষে নানা প্রস্তুতি শুরু করেছেন। বিশেষ করে কোরবানির পশু কেনার ব্যবস্থা, গরিব ও অসহায়দের মাঝে কোরবানির মাংস বিতরণের পরিকল্পনা এবং ধর্মীয় অনুশীলন ও বিশেষ নামাজের প্রস্তুতি দৃঢ় হচ্ছে।
মালয়েশিয়ায় ঈদুল আজহা হলো এক গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব। তা ঈমানের দৃঢ়তা ও মানবতার বার্তা বহন করে। এই উৎসবে মুসলমানরা আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও ত্যাগের প্রতীক হিসেবে পশু কোরবানী করে থাকেন, যা গরিব-অসহায়দের মাঝে বিতরণ করা হয়। এই প্রথাটি ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুশীলন হিসেবে বিবেচিত।
শাসক পরিষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকার মুসলমানদের এই পবিত্র উৎসবটি সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য সকল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎসব উদযাপনের জন্যও সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে, যাতে করে সমাজে সকলেই নিরাপদে এই ধর্মীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারে।
মালয়েশিয়ার বিভিন্ন মসজিদ ও ইসলামিক প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই ঈদুল আজহা উদযাপনের জন্য বিশেষ প্রার্থনা ও ধর্মীয় সভার আয়োজন শুরু করেছে। সামাজিক সংগঠনগুলোও গরিব ও প্রান্তিক মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা প্রদানের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঈদুল আজহার মাধ্যমে মালয়েশিয়ার মুসলমানরা তাদের ঐক্যবদ্ধতা, সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং মানবিক মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটান। এ বছর নির্ধারিত তারিখে এই পবিত্র উৎসব উদযাপনের মাধ্যমে তারা ঐতিহ্য ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে আরো শক্তিশালী করার প্রত্যাশা করছেন।
মালয়েশিয়ার মুসলিম সমাজ, সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ মানুষ সবাই একত্রিত হয়ে আনন্দ ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে এই ঈদুল আজহা পালন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।