ফাতেহের বরকত অভিযান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মধ্যপ্রাচ্যে আবারও উত্তেজনা তুঙ্গে। একই দিনে সিরিয়া, ইরাক ও কাতারে অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান ও তার মিত্র মিলিশিয়াগোষ্ঠীগুলো। তেহরান এই অভিযানের নাম দিয়েছে ‘ফাতেহের বরকত অভিযান’। বিশ্লেষকদের মতে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের আগের সামরিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে ‘সমন্বিত প্রতিশোধ’।
সবচেয়ে বড় হামলাটি হয় কাতারের রাজধানী দোহার কাছে অবস্থিত আল-উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে। যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম মধ্যপ্রাচ্য ঘাঁটিটি লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ১৪টি ক্ষেপণাস্ত্র, যার মধ্যে ১৩টি প্রতিহত হয় এবং একটি ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটির বাইরের একটি অনাবাসিক এলাকায় আঘাত হানে। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও এটি কাতার-যুক্তরাষ্ট্র নিরাপত্তা জোটে গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ইরাকের আনবার প্রদেশে অবস্থিত আল-আসাদ ঘাঁটিতে এবং সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও একযোগে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। ইরাক ও সিরিয়ার হামলাগুলোর দায় স্বীকার করেছে ইরানপন্থি ‘ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স ইন ইরাক’। তাদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ‘দখলদারিত্ব’ ঠেকাতেই এই হামলা।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনেই এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা কোনো আগ্রাসন মেনে নেব না। যুক্তরাষ্ট্রকে মধ্যপ্রাচ্য ছাড়তে হবে।”
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, “ইরান আগাম সতর্কতা দিয়েছিল বলেই প্রাণহানি এড়ানো গেছে। এটি এক অর্থে একতরফা প্রতিশোধ, তবে আমরা এ মুহূর্তে প্রতিক্রিয়া না দিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরান-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনার এই নতুন পর্ব পুরো মধ্যপ্রাচ্যে নিরাপত্তা হুমকি বাড়িয়ে তুলেছে। বিশেষ করে কাতার ও সৌদি আরবের মার্কিন ঘাঁটিগুলো এখন ঝুঁকির মুখে।
ইসরায়েলের সাম্প্রতিক গাজা অভিযানে ইরানের প্রতিবাদ ও তীব্র প্রতিক্রিয়াও এই সমন্বিত হামলার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
📌 আপনার মতামত দিন!
এই প্রতিবেদন সম্পর্কে আপনার মন্তব্য জানাতে নিচে কমেন্ট করুন।
📤 শেয়ার করুন
আপনার বন্ধু ও সহকর্মীদের সঙ্গে শেয়ার করে তাদেরও জানার সুযোগ দিন।
❤️ লাইক দিন
প্রতিবেদনটি ভালো লাগলে লাইক দিয়ে আমাদের উৎসাহ দিন।
📲 বিনিয়োগ, আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন বিজনেসটুডে২৪.কম-এ।