বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, বরগুনা: বরগুনায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি, ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে হৃদয় খান নামের এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের পর মরদেহ লুকাতে সহযোগিতা করার দায়ে জাহিদুল ইসলাম নামের আরেকজনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (আগস্ট) দুপুর দুইটার দিকে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস এই আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ফেব্রুয়ারি বরগুনার আমতলীর বছর বয়সী এক কিশোরীকে অপহরণের পর হৃদয় খান লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণ না পেয়ে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে খালের মধ্যে মরদেহ লুকিয়ে রাখেন। মরদেহ লুকাতে হৃদয়কে সহযোগিতা করেন জাহিদুল।
মুক্তিপণ চাওয়ার সূত্র ধরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ হৃদয় ও জাহিদুলকে গ্রেফতার করে এবং তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী খাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মামলায় জনের সাক্ষ্য ও ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রমাণ অনুযায়ী হৃদয় খানের বিরুদ্ধে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি, ধর্ষণ, হত্যা ও মরদেহ লুকানোর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। অন্যদিকে, মরদেহ লুকাতে হৃদয়কে সহযোগিতা করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় জাহিদুলকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
এ বিষয়ে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি রনজুয়ারা সিপু বলেন, দ্রুত বিচারকাজ সম্পন্ন করার জন্য তারা সচেষ্ট ছিলেন এবং সাক্ষ্য প্রমাণের মাধ্যমে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে পেরেছেন। তিনি দ্রুত এই রায় বাস্তবায়নের অনুরোধ করেছেন।