আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরায়েলের ধারাবাহিক হামলার মধ্যে যুদ্ধবিরতির কোনো আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ইরান। কাতার ও ওমানের মাধ্যমে মধ্যস্থতার প্রক্রিয়া চললেও তেহরান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, প্রতিশোধ সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তারা কোনো ধরনের শান্তি আলোচনা করবে না।
সম্প্রতি ইসরায়েল ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। এতে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংসের পাশাপাশি বহু সামরিক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এর জবাবে ইরান পাল্টা হামলায় তেল আবিব, হাইফা ও বাট ইয়ামে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন আক্রমণ চালিয়েছে। এতে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি সাধারণ মানুষের প্রাণহানিও ঘটেছে।
ইরানের একজন শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা বার্তা সংস্থাকে জানান, “ইসরায়েল যখন আমাদের ঘাঁটিতে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে, তখন যুদ্ধবিরতির কথা বলা অবাস্তব। প্রতিশোধ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা আলোচনায় যাব না।”
জানা গেছে, ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ইরানে অন্তত ৪০০ জন নিহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েকটি পারমাণবিক গবেষণাগার, সামরিক গুদাম ও তেল ডিপো। অন্যদিকে, ইরানের পাল্টা হামলায় ইসরায়েলে অন্তত ১৪ জন নিহত ও ৮৭ জন আহত হয়েছে।
এদিকে আন্তর্জাতিক মহল এ উত্তেজনা কমাতে মধ্যস্থতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কাতার, ওমান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, এমনকি জি-৭ নেতারাও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইছে। তবে ইরানের কঠোর অবস্থানের কারণে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এখন পর্যন্ত আশানুরূপ ফল আনতে পারেনি।
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও জার্মানি যুদ্ধ বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানালেও ইরান তা প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের মতে, এটি আত্মরক্ষার লড়াই এবং এ লড়াই শেষ না করে কোনো আলোচনা অর্থহীন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা আপাতত নেই। উভয় পক্ষই এখন সামরিক শক্তি প্রদর্শনে মনোযোগী। তবে সংঘাত আরও ছড়িয়ে পড়লে তা গোটা মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতায় বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে।