বিনোদন ডেস্ক: দু’দশক আগে, ২০০৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ম্যায় হুঁ না’ ছবিটি বক্স অফিসে সাফল্যের ঝড় তোলে। ছবিতে শাহরুখ খানের বিপরীতে ছিলেন সুস্মিতা সেন, আর গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ছিলেন জায়েদ খান ও অমৃতা রাও। ফারাহ খানের পরিচালনায় তৈরি এই ছবিতে শাহরুখ ও অমৃতা একসঙ্গে বহু গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যে অভিনয় করেছেন।
সম্প্রতি রণবীর আল্লাহবাদিয়ার পডকাস্টে অমৃতা রাও শেয়ার করেছেন, কীভাবে শাহরুখের উৎসাহ ও উপদেশ তার চলচ্চিত্র জীবনকে প্রভাবিত করেছে। তিনি বলেন, “‘ম্যায় হুঁ না’ শুটিং দফায় দফায় চলছিল। তখন শাহরুখ অন্য একটি ছবির শুটিং করছিলেন। তিনি আমাকে এবং আমার মাকে ডেকে বললেন, ‘তোমার মধ্যে তারকা হওয়ার গুণ আছে।’”
শাহরুখের দেওয়া এক বিশেষ পরামর্শ অমৃতার কাছে আজও পথপ্রদর্শক। অমৃতা জানান, “২০০টা ছবির প্রস্তাব আসবে, কিন্তু করতে হবে মাত্র দুটো। আর সেই দু’টোর মধ্যে অন্তত একটি এমন হওয়া উচিত, যার জন্য দর্শক অপেক্ষা করবে।” এই পরামর্শই অমৃতার ছবি বাছাই করার মূল নীতি হয়ে দাঁড়ায়।
অমৃতা আরও স্মরণ করেন, “শাহরুখ সেটে সবার প্রতি খেয়াল রাখতেন, বিশেষ করে নতুন অভিনেতা-অভিনেত্রীদের। আমাদের নার্ভাসনেসও তিনি দূর করতেন। তাঁর সঙ্গে শুটিং করলে প্রথম টেকেই কাজ শেষ হতো।”
শাহরুখকে শেষবার বড়পর্দায় দেখা গিয়েছে ২০২৩ সালে ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’ এবং ‘ডাঙ্কি’-তে। বর্তমানে তিনি সিদ্ধার্থ আনন্দের ‘কিং’ ছবিতে ব্যস্ত, যেখানে সহঅভিনেতা হিসেবে আছেন সুহানা খান ও অভিষেক বচ্চন। সম্প্রতি শাহরুখ জাতীয় পুরস্কারও অর্জন করেছেন।
অমৃতার পাশাপাশি শাহরুখের স্ত্রী গৌরী খান ফেসবুকে আবেগঘন পোস্ট করেছেন: “কী অসাধারণ এক পথচলা তোমার, শাহরুখ। জাতীয় পুরস্কার জেতার জন্য অনেক অভিনন্দন!!! এটা তোমার বহু বছরের কঠোর পরিশ্রমের ফল। আমি একটি বিশেষ তাক তৈরি করে দেব এই পুরস্কার রাখার জন্য।” পোস্টটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই ভাইরাল হয়ে গেছে এবং প্রায় ৮০ হাজার মানুষ পছন্দ করেছেন।
শাহরুখের দীর্ঘতর অভিনয় জীবনে এই জাতীয় সম্মান ও প্রেরণাদায়ক মুহূর্ত ভক্ত এবং সহকর্মীদের কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।










