Home চট্টগ্রাম দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে ফিরে গেলেন শাহাদাত হোসেন সেলিম

দল বিলুপ্ত করে বিএনপিতে ফিরে গেলেন শাহাদাত হোসেন সেলিম

শাহাদাত হোসেন সেলিম

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক মেরুকরণ শেষে নিজের দল বিলুপ্ত করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দিলেন বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (বিএলডিপি-একাংশ) চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিএনপির প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক অবস্থান সুদৃঢ় করতেই তিনি বিএনপিতে ফিরেছেন। এর আগে গত ২৭ নভেম্বর বিএনপি নিশ্চিত করেছিল যে, লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসন থেকে শাহাদাত হোসেন সেলিম ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বরাত দিয়ে সেলিমের বিএনপিতে যোগদানের বিষয়টি এবং মনোনয়নের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, “শাহাদাত হোসেন সেলিম ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র হিসেবে বিগত দিনে বিএনপির প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথে অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে তার এই ত্যাগ ও রাজপথের সক্রিয়তা বিবেচনায় নিয়ে দল আগেই তাকে সবুজ সংকেত দিয়েছিল।”

শাহাদাত হোসেন সেলিম চট্টগ্রাম বন্দরের বার্থ অপারেটর। তিনি এভারেস্ট এন্টারপ্রাইজের মালিক। রামগঞ্জের স্থানীয় রাজনীতিতে শাহাদাত হোসেন সেলিম পরিচিত মুখ। তার এই যোগদানের ফলে লক্ষ্মীপুর-১ আসনে বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। নিজের দল বিএলডিপি বিলুপ্ত করার মধ্য দিয়ে তিনি এখন সরাসরি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে একীভূত হলেন।

শাহাদাত হোসেন সেলিমের রাজনৈতিক ভিত্তি
ছাত্রদল দিয়ে রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করা সেলিম চট্টগ্রাম শিক্ষাঙ্গনে সক্রিয় ভূমিকার মাধ্যমে পরিচিত হন। পরে বিএনপির মূল রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরে সাংগঠনিক প্রভাব বিস্তার করেন। তিনি দীর্ঘদিন চট্টগ্রাম বন্দর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ( ১৯৮৮–১৯৯৪) এবং পরে মহানগর বিএনপির যুগ্ম-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
পরবর্তীতে দলবদল করে এলডিপি এবং এরপর বিএলডিপি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র হিসেবে তিনি জাতীয় পর্যায়েও পরিচিত।

জোট রাজনীতিতে ভূমিকা
১২ দলীয় জোটের অন্যতম আলোচিত মুখ হিসেবে তিনি বিগত এক বছরে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক উদ্যোগ, বৈঠক এবং যৌথ বিবৃতি সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের সমালোচনা, নির্বাচনকেন্দ্রিক অবস্থান এবং গণ-অভিযোগ তুলে ধরতে তিনি সামনে ছিলেন।

বন্দর রাজনীতিতে তার অবস্থান
চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবস্থাপনা ও বার্থ অপারেশন ইস্যুতেও সেলিম দীর্ঘদিন বক্তব্য দিয়ে এসেছেন। ঠিকাদারি, অপারেটর নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং স্বচ্ছতা নিয়ে তাঁর মন্তব্য রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে আলোচিত হয়। এসব কারণে তাকে শুধু জাতীয় নয়, বন্দর অঞ্চলের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের কাছেও পরিচিত এক নাম হিসেবে দেখা হয়।