Home Second Lead শিপিং বাণিজ্যে বড় ধাক্কা, ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি নিষেধাজ্ঞায়

শিপিং বাণিজ্যে বড় ধাক্কা, ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি নিষেধাজ্ঞায়

ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: কাশ্মীরে প্রাণঘাতী হামলার জেরে ফের চরমে পৌঁছেছে ভারত-পাকিস্তান কূটনৈতিক উত্তেজনা। সেই উত্তেজনার অংশ হিসেবে শনিবার উভয় দেশ একে অপরের পতাকাবাহী জাহাজের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর ফলে আপাতত কোনো ভারতীয় পতাকাবাহী জাহাজ পাকিস্তানের কোনো বন্দরে ঢুকতে পারবে না, তেমনই পাকিস্তানি জাহাজেরও ভারতের বন্দর ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।

২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পাহেলগামে ভয়াবহ হামলায় প্রাণ হারান অন্তত ২৬ জন, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন পর্যটক। এই হামলার জন্য ভারত পরোক্ষভাবে সীমান্তপারের সম্পৃক্ততার ইঙ্গিত দিলেও, পাকিস্তান তা সরাসরি অস্বীকার করে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে।

ঘটনার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে সামরিক ও কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়তে থাকে। পাকিস্তান তার সীমান্তে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে ‘অপারেশনাল ফ্রিডম’ দেন। এপ্রিলের শেষ দিকে পাকিস্তান জানায়, ২৪–৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ভারতের হামলা আসতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছে। দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ এড়াতে কূটনৈতিক চ্যানেল সক্রিয় করা হয়।

এই প্রেক্ষাপটে শনিবার সকালে ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাকিস্তানি পতাকাবাহী কোনো জাহাজ ভারতের কোনো বন্দরে ঢুকতে পারবে না এবং ভারতীয় জাহাজও পাকিস্তানি বন্দর ব্যবহার করতে পারবে না। ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব শিপিং জানায়, এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে “ভারতের সম্পদ, পণ্য এবং সংযুক্ত পরিকাঠামোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে।”

দুপুরে পাকিস্তানের পক্ষ থেকেও অনুরূপ ঘোষণা আসে। পাকিস্তানের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রণালয়ের পোর্টস অ্যান্ড শিপিং উইং জানায়, “পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে সাম্প্রতিক সামুদ্রিক পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষার্থে এই ব্যবস্থা অবিলম্বে কার্যকর করা হচ্ছে।”

গত সপ্তাহ থেকেই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপের সূত্রপাত ঘটে। ভারত এর আগে পাকিস্তানি বিমানের জন্য আকাশপথ বন্ধ করে দেয়, যা ২৩ মে পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ পাকিস্তানের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও নেতাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টও ব্লক করে দেয়।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ভারত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করার পর থেকেই পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য কার্যত বন্ধ করে দেয় এবং সম্পর্ক ‘ইজরায়েলের মতো স্তরে’ নামিয়ে আনে, যার সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো বাণিজ্য নেই।