Home চট্টগ্রাম চট্টগ্রামে শীতল ঝরনার সেতু ভেঙে দুই ভাগ

চট্টগ্রামে শীতল ঝরনার সেতু ভেঙে দুই ভাগ

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম:  বায়েজিদ বোস্তামী সড়কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ অক্সিজেন এলাকায় শীতল ঝরনা খালের ওপর নির্মিত সেতুটি ভেঙে দুই ভাগ হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার ভোর ছয়টার দিকে হঠাৎ সেতুর একটি অংশ দেবে গিয়ে ধসে পড়ে। এতে সড়কের এক পাশ দিয়ে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। অন্য পাশ দিয়ে সীমিত আকারে যান চলায় সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট।

স্টারশিপ গলি এলাকায় অবস্থিত এই সেতু নগরের ২ নম্বর গেট থেকে অক্সিজেন এলাকার যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম। প্রতিদিন হাজারো যাত্রী ও যানবাহন এই পথে যাতায়াত করে। এলাকাটিতে শিল্পকারখানা, পোশাক শিল্প এবং একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকায় সড়কটি অত্যন্ত ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ।

 সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান জানান, সেতুটি নির্মিত হয়েছিল প্রায় ৪৫ বছর আগে, আশির দশকে। ইট দিয়ে নির্মিত পুরনো কাঠামোটি দীর্ঘদিন ধরেই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। সম্প্রতি জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় শীতল ঝরনা খালটি প্রশস্ত করার ফলে পানিপ্রবাহ বেড়ে যায়। এর ফলে সেতুর নিচ থেকে মাটি সরে যেতে শুরু করে এবং সেতুর ভিত্তি দুর্বল হয়ে পড়ে।

গতরাত থেকে টানা ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় পানির চাপ আরও বেড়ে যায়। এতে বৃহস্পতিবার সকালে সেতুর একটি অংশ ধসে পড়ে। বর্তমানে এক পাশ বন্ধ থাকায় অপর পাশ দিয়ে সীমিত আকারে গাড়ি চলাচল করছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যে অংশ দিয়ে চলাচল হচ্ছে সেটিও ঝুঁকিপূর্ণ এবং যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে।

 সকালে সেতুর একটি অংশ ধসে পড়ে। এরপর থেকে অক্সিজেন থেকে দুই নম্বর গেটমুখী লেনটি সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যান চলাচল অন্য লেন দিয়ে চালু থাকলেও এতে তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে।

স্থানীয়রা বললেন,  অনেক দিন ধরেই সেতুটি ভাঙা ভাঙা অবস্থায় ছিল। প্রতিদিন এই সড়কে চলাচলের সময় আমাদের মনে ভয় কাজ করত। আজ সেটা সত্যি হয়ে গেছে। গত বছরও সেতুর এক পাশ দেবে গিয়েছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি ছড়ালে সিটি করপোরেশন টিন দিয়ে ঘিরে দেয় এবং বালু-ইট ফেলে কোনোভাবে গর্ত ঢেকে রাখে।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান বলেন, “সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় নতুন করে নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাঁচ কোটি টাকার প্রাক্কলন তৈরি করে দরপত্র আহ্বানের প্রস্তুতি চলছে। আমরা দ্রুত কাজ শুরু করার চেষ্টা করছি।”