বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: দেশে আবারও সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সোমবার সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিনের সভাপতিত্বে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। খোলা ও বোতলজাত উভয় প্রকার সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে বাড়তি দাম কত হবে, তা ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে।
বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এ দফায় লিটারপ্রতি ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, “ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তা আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় বেশি। এ প্রস্তাব পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
আন্তর্জাতিক বাজারে ঊর্ধ্বমুখী দাম
ব্যবসায়ীদের দাবি, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম ১,২০০ ডলার ছুঁয়েছে। গত কয়েক মাসে আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম গড়ে ১৮-২০ শতাংশ বেড়েছে। একইভাবে পাম তেলের দামও ঊর্ধ্বমুখী।
দেশে ভোজ্যতেলের বাজার ও চাহিদা
বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের বাৎসরিক চাহিদা প্রায় ২০ থেকে ২২ লাখ টন, যার মধ্যে সয়াবিন তেলের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি। মোট ভোজ্যতেল ব্যবহারের প্রায় ৭০ শতাংশই সয়াবিন তেল, আর বাকি অংশ পাম তেল ও অন্যান্য তেল।
দেশীয় উৎপাদন অত্যন্ত সীমিত হওয়ায় প্রয়োজনীয় ভোজ্যতেলের প্রায় ৯০ শতাংশই আমদানি করতে হয়। প্রধানত আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, যুক্তরাষ্ট্র ও ইন্দোনেশিয়া থেকে সয়াবিন ও পাম তেল আমদানি করা হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে সরাসরি দেশের বাজারে প্রভাব পড়ে।
পূর্ববর্তী দাম নির্ধারণ
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সয়াবিন তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৮৯ টাকা এবং পাম তেলের দাম ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল। নতুন দাম কার্যকর হলে ভোক্তা পর্যায়ে ভোজ্যতেলের খরচ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
👉 দেশে নিত্যপণ্যের বাজারে আগে থেকেই চাপ থাকায় ভোজ্যতেলের এই মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বাড়িয়ে দিতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।