আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নিজেকে ভালোবাসাই সবচেয়ে বড় বিষয়—এই বিশ্বাসকে বাস্তবে রূপ দিয়ে একাধিক নারী বেছে নিয়েছেন সলো গ্যামি বা নিজেকে বিয়ে করার পথ।
সম্প্রতি আবারও আলোচনায় এসেছেন ইতালির ফিটনেস ট্রেনার লরা মেসি। মনের মতো সঙ্গী খুঁজে না পেয়ে সাত বছর আগে তিনি নিজেকেই বিয়ে করেন। ধুমধাম আয়োজনের সেই অনুষ্ঠানে প্রায় ৭০ জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন। সাদা রঙের গাউন পরে, কেক কেটে এবং প্রচলিত সব আচার-অনুষ্ঠান মেনে নিজের সঙ্গেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন লরা।
তিনি জানান, দীর্ঘ ১২ বছরের একটি সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর জীবনের মোড় ঘুরে যায়। ৪০তম জন্মদিনে আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধুদের সামনে ঘোষণা দেন—“রাজপুত্র না পেলেও আমি নিজেই আমার গল্পের রানি হব।” লরার সেই সিদ্ধান্ত তখনো আলোড়ন তোলে, আর সাত বছর পর তা আবার ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে।
এর আগে ২০২২ সালে ভারতের গুজরাট রাজ্যের ভদোদরা শহরের তরুণী ক্ষমা বিন্দুও একই সিদ্ধান্ত নিয়ে শোরগোল ফেলে দেন। মাত্র ২৪ বছর বয়সে তিনি ঘোষণা করেন, সমাজের গৎবাঁধা রীতিনীতিকে ভাঙতেই তিনি নিজেকে বিয়ে করবেন। বিন্দু জানান, তিনি উভকামী (বাইসেক্সুয়াল) এবং ভালোবাসার প্রকৃত সংজ্ঞা হলো আত্মমুগ্ধতা ও আত্মসম্মানকে মর্যাদা দেওয়া।
হিন্দু ধর্মীয় আচার অনুযায়ী অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, “আমার জীবনে কোনো রাজপুত্রের প্রয়োজন নেই। আমি নিজেই আমার গল্পের রানি।” পুরোহিত ডেকে আনুষ্ঠানিকতা করার পরিকল্পনাও করেছিলেন তিনি। তবে আইন বিশেষজ্ঞরা জানান, ভারতে সলো গ্যামির কোনো আইনি স্বীকৃতি নেই।
এই ঘটনাগুলো প্রমাণ করছে, নিজের প্রতি ভালোবাসা ও আত্মমর্যাদার জায়গা থেকে অনেকেই ভাঙছেন প্রচলিত ধারণা। কারও কাছে এটি আত্মবিশ্বাসের প্রতীক, আবার কারও চোখে কেবলই অদ্ভুত এক ঘটনা। কিন্তু নিঃসন্দেহে সামাজিক আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে “নিজেকে বিয়ে” করার এই প্রবণতা।